বাংলা হান্ট ডেস্ক : দেখতে দেখতে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকা হিসেবে দু’দশক পার করে ফেললেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। যদিও অভিনয় জগতে স্বস্তিকার (Swastika Mukherjee) হাতেখড়ি হয়েছিল তারও অনেক আগে। ২০০১ সালে প্রথমবার ‘হেমন্তের পাখি’ সিনেমার হাত ধরে বড় পর্দায় ডেবিউ করেছিলেন অভিনেতা শন্তু মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে তথা অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)।
বাংলা সিনেমার নায়িকা হয়ে দু’দশক পার স্বস্তিকার (Swastika Mukherjee)
তবে নায়িকা হিসেবে স্বস্তিকার প্রথম অভিষেক হয় মস্তান সিনেমায়। রবি কিনাগী পরিচালিত সুরিন্দর ফিল্মসের এই সিনেমায় স্বস্তিকার বিপরীতে প্রধান নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন জিৎ। সিনেমাটির প্রথম মুক্তি পেয়েছিল ২০০৪ সালের ২২ অক্টোবর। বাংলার পাশাপাশি এই সিনেমাটি তৈরি হয়েছিল ওড়িয়া ভাষাতেও। যার নাম ছিল ‘সুনা সাংখালি’।
বাংলা সিনেমা মাস্তানে স্বস্তিকার নাম হয়েছিল মমতা। এদিন মস্তান সিনেমার দু’দশক পূর্তিতে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন স্বস্তিকা। নায়িকা হিসেবে বাংলা সিনেমায় দু’দশক পার করার পর মাস্তান সিনেমার বাংলা এবং ওড়িয়া ভাষার দুটি পোস্টার শেয়ার করার পাশাপাশি সাম্প্রতিক ওয়েব সিরিজ ‘বিজয়া’র পোস্টার শেয়ার করে নিয়েছিলেন স্বস্তিকা।
এপ্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিশেষ বার্তা দিয়ে স্বস্তিকা এদিন লিখেছেন, ‘নায়িকা হিসেবে আমার প্রথম ছবি মস্তান। ২০০৪ সালের ২৪ অক্টোবর সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল। এটি একটি দ্বিভাষিক ছবি, বাংলায় ‘মস্তান’ ও ওড়িয়া ভাষায় ‘সুনা সাংখালি’ নাম ছিল। ‘মস্তান’ থেকে ‘বিজয়া’ পর্যন্ত অনেকটা পথ পেরিয়ে এলাম।’
আরও পড়ুন : আবার আগুন সোনার দাম, হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের! কলকাতায় কত সোনালী ধাতু?
চলতি বছরে স্বস্তিকাকেশেষ বার দেখা গিয়েছে টেক্কা’ সিনেমায়। এই সিনেমায় ইরার চরিত্রে স্বস্তিকার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়াও চলতি বছরে ‘বিজয়া’, ‘দুর্গাপুর জংশন’, ‘লাভ সেক্স অউর ধোকা ২’ -তেও নজর কেড়েছে স্বস্তিকার অভিনয়।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বস্তিকার এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘ম্যাম অভিনন্দন। এত নিখুঁত অভিনয় করে এসেছেন প্রথম থেকে, আপনার অভিনীত একটা কাজ ও বাদ দিয়েছি বলে মনে নাই। ওয়েব “মোহমায়া” টা এত দাগ কেটেছে,আর সেই থেকে বিজয়া অব্দি আপনার লুক এর অনন্য পরিবর্তন আরো ভালো লেগেছে। “শ্রী” দেখে ভিষন ইচ্ছে হচ্ছিলো একটা বার দেখা হতো, সে ইচ্ছাটা হয়তো পূরণ নাও হতে পারে, তবে বেঁচে থাকতে জীবনের এই ইচ্ছাটা পূরণের চেষ্টা থাকবে। ভালো থাকুন।’