বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উচ্চ প্রাথমিক মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ১৪,০০০ শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তা এদিন খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগের যে নির্দেশ দিয়েছিল তাতে হস্তক্ষেপ করল না সর্বোচ্চ আদালত।
উচ্চ প্রাথমিক মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)!
উচ্চ প্রাথমিক মামলায় (Upper Primary Recruitment Case) গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় এবং বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি-কে নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মেধা তালিকার ভিত্তিতে কাউন্সেলিং করে নিয়োগের কথা বলা হয়। এর ভিত্তিতে দীর্ঘ ৮ বছরের টানাপড়েন শেষে ১৪,০৫২টি পদে নিয়োগ শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এসবের মাঝেই নিয়োগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। হাইকোর্টের নির্দেশ সংরক্ষণ নীতির বিরোধী, এই দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। যে কারণে উচ্চ প্রাথমিকের ওই নিয়োগে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ফলে সে জটিলতা কেটে গেল।
আরও পড়ুনঃ এক টাকাও লাগবে না! ফ্রি-তে মিলবে গ্যাস সিলিন্ডার! শীঘ্রই করতে হবে এই কাজ
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই মামলা উঠেছিল। আদালত এদিন স্পষ্ট জানায়, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অনুযায়ী উচ্চ প্রাথমিকের ১৪,০০০ শূন্যপদে নিয়োগ হবে। নিয়োগপত্র দেওয়ায় কোনও বাধা নেই। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, উচ্চ প্রাথমিক মামলায় নিয়োগের পক্ষে যারা ছিলেন, তাঁদের আইনজীবী ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা এই প্রবীণ আইনজীবী হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানিতেও হাজির ছিলেন। সর্বোচ্চ আদালত এই মামলায় রায় দেওয়ার পর কল্যাণ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের মৌখিক পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সাল থেকে একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বারংবার নাক গলানো উচিত নয়। যার ফলে বাম এবং বিজেপির চক্রান্ত খারিজ হয়ে গেল’।