বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমানে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees) ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। যা কেন্দ্রের থেকে অনেকটাই কম। এই নিয়েই সরকারের (Government of West Bengal) বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীদের একটা অংশ আন্দোলন চালাচ্ছে বহুদন ধরে। এরই মাঝে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট সামনে এল। কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। দুর্গাপুজোর পর অফিস খুলতেই সেই রিপোর্ট হাতে পেতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে ইউনিটি ফোরাম।
সূত্রের খবর, ষষ্ঠ বেতন মিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেতে সম্প্রতি রাজ্য তথ্য কমিশনার, রাজ্য অর্থ দফতরকে আইনি চিঠি দিয়েছে ইউনিটি ফোরাম। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ২০১৯ সালে রোপা আইন চালু হয়েছিল। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ, সরকারি মেমোতে ‘ষষ্ঠ বেতন কমিশনে’র উল্লেখ রয়েছে। যাতে ষষ্ঠ পে কমিশনের সেই সুপারিশ বা রিপোর্টের কপি দেখানো হয় তা নিয়ে বারবার আপিল করা হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।
সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার আগেই আরটিআই করেছিলেন। তবে তার কোনো উত্তর মেলেনি। ইউনিটি ফোরামের আবেদন মেনে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আদালতের নির্দেশে কর্ণপাত করেনি রাজ্য। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করেনি রাজ্য সরকার। এরপর ফের একবার আদালতে মামলা দায়ের হয়।
উল্লেখ্য, ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার গত ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা করেন। এবার তার আইনজীবীর মাধ্যমেই রাজ্য তথ্য কমিশনার, রাজ্য অর্থ দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দেবপ্রসাদবাবু চিঠির মাধ্যমে সরকারের থেকে তিনদিনের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশের ফার্স্ট ও সেকেন্ড পার্ট দেখতে চেয়েছিলেন। গত ২১ অক্টোবর সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। রিপোর্ট না দেখালে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বকেয়া DA নিয়ে অবশেষে সুখবর! এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা সরকারের
বর্তমানে ১৪% হারে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট পেশের সময় সরকার ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে। যদিও সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এর আগে সরকার এইচআর-এর অর্থাৎ ঘর ভাড়া ভাতার টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাকে সরকার ডিএ বলে চালিয়েছে। যা আদতে কোনো ডিএ-ই নয়।