বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত আগস্ট মাস থেকে শিরোনামে রয়েছে আরজি কর হাসপাতাল। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে সন্দীপ ঘোষের আমলে হাসপাতালের চার দেওয়ালের ভেতর হওয়া নানান দুর্নীতির কথা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আরজি করের (RG Kar Case) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার স্বাস্থ্যদপ্তর চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে জানাল, আরজি করের আরও দু’জন ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
কাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে (RG Kar Case)?
চলতি অক্টোবর মাসে সিবিআইয়ের (CBI) তরফ থেকে স্বাস্থ্যদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেখানে আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিনের ডেমনস্ট্রেটর ডাঃ দেবাশিস সোম এবং অ্যানাস্থেশিওলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডাঃ সুজাতা ঘোষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই দুই ডাক্তারই সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
এবার স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে এই চিঠির জবাব এল। সেখানে জানানো হয়েছে, ডাঃ দেবাশিস সোম এবং ডাঃ সুজাতা ঘোষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। তাঁদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি উঠেছে, সেগুলির ওপর ভিত্তি করেই স্বাস্থ্যদপ্তর বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে। যদি সেই অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়, তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ নভেম্বরেই…? সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর! এবার হুড়মুড়িয়ে বাড়তে পারে বেতন
জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার ডিআইজি র্যাঙ্কের একজন আধিকারিক বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরকে পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Case) নানান সামগ্রী কেনা, হাউস স্টাফ নিয়োগের মতো নানান বিষয়গুলিতে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেখানে ওই দুই ডাক্তারের ভূমিকা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়টি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল সিবিআই।
এদিকে আবার জানা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যদপ্তরের তদন্ত কমিটির তরফ থেকে দেওয়া রিপোর্টেও দেবাশিস এবং সুজাতার ‘কার্যকলাপ’এর বিবরণ রয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে আসা অভিযোগ অনুসারে, ওই দুই ডাক্তার হুমকি সংস্কৃতির সঙ্গেও জড়িত। এর আগে সিবিআইয়ের তরফ থেকে দেওয়া চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল, দেবাশিস এবং সুজাতা আরজি করের (RG Kar Case) নানান সামগ্রী কেনা, হাউস স্টাফ নিয়োগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, যদি কোনও ব্যক্তি জুনিয়র চিকিৎসক, নার্স কিংবা হাউস স্টাফকে হেনস্থা করে থাকে অথবা হুমকি দিয়ে থাকে, সিবিআইয়ের কাছে যদি এমন কোনও তথ্য আসে তাহলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সেটা স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানাতে পারে। সেই হিসেবে ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।