একসময় সাঁই সাঁই করে ছুটত ট্রেন! সেই ব্যস্ত রেল স্টেশন আজ বিলুপ্ত! ছিল এই বাংলাতেই,নাম জানেন?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ ভারতের রেল ব্যবস্থা যাতায়াত ব্যবস্থাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। দিনের পর দিন ছুটে যাচ্ছে একের পর এক ট্রেন। সেজে উঠেছে একের পর এক রেল স্টেশন (Rail Station)। হাজার হাজার ট্রেন আজ মানুষের যাতায়াতকে সুগম করে তুলেছে। এমনকি আজ দুরন্ত থেকে রাজধানীর, চেন্নাই, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মত অত্যন্ত দ্রুতগামী ট্রেন ছুটে চলেছে।

গন্তব্যস্থলে যেখানে পৌঁছাতে এক দুদিন লাগতো, সেখানে কয়েক ঘন্টায় পৌঁছে যাচ্ছে যাত্রীরা। তবে আজ এমন একটি স্টেশনের (Rail Station) কথা বলব যার সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন বা নাও জানতে পারেন। বাংলার বুকে থাকা এমনি এক স্টেশন আজ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল এই স্টেশন। একসময় যাত্রীদের ভরসা জায়গায় ছিল এটি। তবে এখন ট্রেন তো দূর ট্রেনের ইঞ্জিন এখানে দেখতে পাবেন না।

কোথায় রয়েছে সেই হারিয়ে যাওয়া রেলস্টেশন (Rail Station):

যে রেল স্টেশনটির (Rail Station) কথা আমরা বলছি, সেটির কিছুটা অংশ রয়েছে বাংলায় আবার কিছুটা অংশ রয়েছে ঝাড়খন্ডে। বহু পুরনো এই স্টেশন। স্বাধীনতার আগে সেই ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয় ছোট্ট রেল স্টেশন পলাশস্থলী। মূলত স্টেশনটি ছিল বীরভূমের কাছে। এখনকার মতো তখন কিন্তু বীরভূম এতোটাও উন্নত ছিল না, এমনকি বর্তমান দিনের ছাউনিওয়ালা এত উন্নত মানের স্টেশন কিন্তু তখনও গড়ে ওঠেনি।

আরোও পড়ুন : পার্থ চুনোপুটি! নিয়োগ দুর্নীতিতে এই হেভিওয়েটের ১৬৩ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, বড় নাম সামনে আনল ED

বীরভূমের শাল-শিমূল-সেগুন-মহুয়ায় ঘেরা চারিদিক, লাল মাটির উপর দিয়ে উঠে গেছে এই স্টেশন (Rail Station)। জানা যায়, বীরভূমের ভীমগড় থেকে এবং ঝাড়খন্ড পর্যন্ত বিস্তৃত এই রেললাইন। এখান দিয়ে যাত্রীরা ট্রেনে উঠলে সহজেই ঝাড়খন্ডে পৌঁছাত পারতো। জানা যায়,  ১৯৫৩ সালে চালু হয় এখানে রেলপথ ব্যবস্থা। এই রেলপথের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ২৭ কিলোমিটার।

Railway Station

মূলত পূর্ব রেল অন্তর্গত সাঁইথিয়া-অন্ডাল শাখার স্টেশন ছিল ভীমগড়-পলাশস্থলীর এই রেলপথ। যখন এখানে ট্রেন চলাচল করতো, তখন এখানে দিনে দুই থেকে চারবার ট্রেন যাতায়াত করত। যাত্রীদের কাছে এটি হয়ে উঠেছিল যাতায়াতের অন্যতম অংশ। এই স্টেশনের মাধ্যমে বাংলার বর্ধমান, আসানসোল, কলকাতা সহজেই যাতায়াত করা যেত তখন।  কিন্তু বর্তমানে, না আছে এর কোন অস্তিত্ব, আর না রয়েছে ব্যস্ত স্টেশনের ভিড় কিংবা জন কোলাহল।

কেন বন্ধ হয়ে যায় এখানে ট্রেন চলাচল: 

জানা গিয়েছে, পলাশস্থলী (Palashthali) রেল স্টেশনের তলায় রয়েছে কয়লা খনি। যার ফলে এখানে খনন কাজ চলে। কিন্তু অবৈধভাবে খনন কাজ করতে করতে বর্তমানে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার মাটি। এমনকি রেললাইন সংলগ্ন মাটিও অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। ২০০২ সাল থেকে এখানে কোন ট্রেনই চলাচল করছে না। বিগত কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে এখানে ট্রেন চলাচল বন্ধ। তবুও জানা গিয়েছে, যাত্রীবাহী ট্রেন না চললেও মাঝেমধ্যে মালগাড়ি চলাচল করে। বর্তমানে এখন পলাশস্থলী স্টেশনটি প্রায় অচলাবস্থায় পড়ে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর