বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার বিভিন্ন কালী মন্দিরের মাহাত্ম্য নিয়ে রয়েছে নানারকম ইতিহাস। অলিগলি শুধু নয়, বাংলার অনেক গৃহস্থ বাড়িতেও রয়েছে কালী মন্দির। অনেক প্রসিদ্ধ সিদ্ধপুরুষদের স্মৃতিবিজড়িত পুজোও রয়েছে এগুলির মধ্যে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম ‘সার্ভিস কালী’র (Service Kali) মন্দির।
‘সার্ভিস কালী’র (Service Kali) মাহাত্ম্য
ভক্তদের বিশ্বাস এই দেবীর কাছে প্রার্থনা করলে পূর্ণ হয় চাকরির মনোবাঞ্ছা। সরকারি চাকরি পাওয়ার আশায় বহু ভক্ত মানত করতে আসেন ‘সার্ভিস কালী’র (Service Kali) মন্দিরে। বাঁকুড়া (Bankura) শহর থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে সোনামুখী পুরসভা এলাকায় রয়েছে ‘সার্ভিস কালী’ (Service Kali) মন্দির।
এই মন্দিরের মা কালীর কাছে চাকরির মানত করেন অনেক ভক্ত। তাঁদের বিশ্বাস সেই মানত নাকি পূরণও করেন এই দেবী। সোনামুখী শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকেও ভক্তরা ছুটে আসেন ‘সার্ভিস কালী’ মন্দিরে। ভক্তরা বলে থাকেন, সরকারি চাকরির মনোবাঞ্ছাও পূরণ করেন ‘সার্ভিস কালী’।
আরোও পড়ুন : এবার YouTube থেকেই করা যাবে কেনাকাটা! লঞ্চ হল দুর্ধর্ষ ফিচার, কিভাবে করবেন ব্যবহার?
এমনকি দেবীর আশীর্বাদে আটকে থাকা চাকরিও হয়ে যায় খুব সহজে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোনামুখী এলাকার কিছু ব্যক্তি বাস পরিষেবা শুরু করার লাইসেন্স পাচ্ছিলেন না। তখন তাঁরা এই কালী মার কাছে এক টাকা বা ষোলো আনা দিয়ে মানত করেন। তারপর নাকি দীর্ঘদিনের আটকে থাকা সেই কাজ হয়ে যায়।
দেবীর গায়ে লক্ষ্য করা যায় একাধিক দামী গহনা। সরকারি চাকরির মনোবাঞ্ছা পূরণ হওয়ার পর ভক্তরা সেইসব গহনা উপহার দিয়েছেন মাকে। বিশেষ দিনগুলি ছাড়াও গোটা বছর ভক্তদের ভিড় লেগে থাকে ‘সার্ভিস কালী’ মন্দিরে। দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের চাকরির মানত পূরণ করে সমাজ মাধ্যমেও এখন বহুল পরিচিত ‘সার্ভিস কালী’।