বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওয়াকফ বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক। সেখানে আচমকাই পরিস্থিতি তেতে ওঠে। বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। শুধু তাই নয়, বোতল ভেঙে হাতে আঘাতও পান তিনি। এই ঘটনার পর কে প্রথম ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন? এবার সেই নাম প্রকাশ্যে আনলেন তৃণমূল সাংসদ নিজে।
কল্যাণ (Kalyan Banerjee) চোট পাওয়ার পর কে প্রথম ফোন করেছিলেন?
শনিবার হুগলির রিষড়ায় তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কল্যাণ। সেখানে এই নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। সাংসদ-আইনজীবী জানান, তিনি যখন যন্ত্রণায় কাতর। অন্যদিকে বিজেপ তাঁকে সরানোর ‘পরিকল্পনা’ করছে। সংবাদমাধ্যমে চলছে এই ঘটনার সম্প্রচার। এমতাবস্থায় বেজে ওঠে শ্রীরামপুরের সাংসদের ফোন। ওপার থেকে প্রশ্ন আসে, ‘তুমি কেমন আছ?’
কল্যাণ (Kalyan Banerjee) বলেন, সেই সময় তিনি নয়াদিল্লির বাসভবনে একাই ছিলেন। এমন সময় তাঁকে ফোন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কল্যাণের আঘাত পাওয়ার খবর কানে আসতেই তাঁকে ফোন করেন তৃণমূল সেনাপতি। জিজ্ঞেস করেন, তিনি এখন কেমন আছেন।
আরও পড়ুনঃ জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের ‘অপমৃত্যু’ কে ঘটাল? তোলপাড় করা দাবি শুভেন্দুর
তৃণমূল (TMC) সাংসদের কথায়, ‘আমার হাতে পাঁচখানা সেলাই পড়েছে। রক্তে ভরে গিয়েছে। আমি যার কাছ থেকে প্রথম ফোনটা পাই, তিনি জিজ্ঞেস করেন, তুমি কেমন আছ? তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে নেতা তৈরি হয়। মনের মধ্যে থাকবে’। এরপরেই হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতির উদ্দেশে কল্যাণ বলেন, অভিষেক সবে দেশে ফিরেছে। ওনার শরীরটা একটু ভালো হলেই সবাই মিলে বড় বৈঠক করব।
তৃণমূল সূত্রে ইতিমধ্যেই এই ‘বড় বৈঠকের’ কারণ জানা গিয়েছে। জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিষেক সংগঠনের নেতা। সাংসদদের নিয়েও তিনিই পরিকল্পনা করেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee) সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, সেই বিষয়ে তিনি তৃণমূল সেনাপতিকে জানাবেন। এরপর বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই সঙ্গেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই বিষয়টির উত্থাপন এবং ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ধরাশায়ী করার পরিকল্পনাও করা হবে বলে খবর।