বাংলা হান্ট ডেস্ক : রবিবাসরীয় ছুটির দিনেই রাজ্যে এসে ২০২৬-এর রাজনৈতিক পালাবদলের ডাক দিয়ে ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তাঁরই সুরে সুর মেলালেন বঙ্গ বিজেপির ‘জাত গোখরো’ মিঠুন চক্রবর্তীও (Mithun Chakraborty)। তবে এদিন সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) গলায় শোনা গেল সেই ষাটের দশকের নকশালপন্থীর হুঙ্কার।
মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) গলায় ২৬-এর মনসদ দখলের ডাক
বঙ্গ রাজনীতির সাথে মিঠুনের (Mithun Chakraborty) সখ্যতা আজকের নয়। তাই তুখোড় অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশিই তিনি একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিক। তাই এই ৭৮ বছর বয়সে এসে রাজনীতির মারপ্যাঁচ তাঁর নখদর্পণে। এদিন মিঠুনের মুখে শোনা গেল অতীতের সেই নকশাল আমলের কথা। যদিও কলকাতার বছর ২৮-এর গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী তখনও আজকের মেগাস্টার মিঠুন চক্রবর্তী হয়ে ওঠেনি।
সেই থেকেই রাজনীতিতে হাতে খড়ি মিঠুনের। পরবর্তীতে পরিবারের চাপেই আর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। পরে যদিও অভিনেতার সখ্যতা তৈরি হয়েছিল তৃণমূলের সাথে। আর পরেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বড় চমক দিয়ে মিঠুনই হয়ে ওঠেন বঙ্গ বিজেপির তারকা সেনাপতি।
রবিবার বিজেপির এই সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে সেই নকশাল আমলের গৌরাঙ্গকে স্মরণ করেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সামনেই রগরগের সংলাপের মতই এক নিঃশ্বাসে মহাগুরু বলে চললেন তাঁর সেই ‘রক্তের রাজনীতির’ কথা। অভিনেতার কথায়, ‘আজ অভিনেতা হিসেবে নয়, আমি সেই ষাটের দশকের মিঠুন চক্রবর্তী বলছি। আমি রক্তের রাজনীতি করেছি। তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ আমার কাছে নতুন নয়। জানি, কোন পদক্ষেপে কোন কাজ হবে।’
আরও পড়ুন : প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আর শুনবেন না OBC সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মমমলার রায়! কেন এমন সিদ্ধান্ত?
এরপরেই এদিন বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ২৬-এর মনসদ দখলের ডাক দিয়ে মিঠুন সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে বলেন বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১ কোটি করতেই হবে। মহাগুরুর কথায়, ‘আপনারা যদি আমাকে জোর গলায় বলেন, বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১ কোটি হবে, তবেই আমি আপনাদের ইচ্ছেপূরণ করব। আমিও কথা দিলাম, ২৬-এ এই মসনদ আমাদের হবে।’ অমিত শাহ’র সামনেই মিঠুন বলেন, ‘তার জন্যে যা করতে হয় করব। আগামী নির্বাচনে এই সিংহাসন আমাদের হবেই। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সামনে বলছি- ‘কুছ ভি, মানে কুছ ভি…’- আর এই কথাটার একটা অন্তর্নিহিত অর্থ রয়েছে। গত নির্বাচনের সময়ে আমি ২৭ দিন ময়দানে নেমে প্রচার করেছি। কিন্তু বাংলায় বিজেপির ফলাফল দেখে খুব দুঃখ পেয়েছি।’
এখানেই শেষ নয় এদিন দলের সংগঠন নিয়েও মিঠুন বলেন, ‘আমাদের এরকম একজন কার্যকর্তা চাই, যাঁরা বুক চিতিয়ে সামনে এসে লড়বে। যে বলবে মার তোর কাছে কতগুলি আছে। গুলি খেলেও নিজের কর্তব্যে অবিচল থাকবে। যাঁরা টাকার বিনিময়ে কাজ করেন, আমাদের ওরকম কার্যকর্তার দরকার নেই। যদি অর্থের বিনিময়ে রাজনীতি করতেই হয়, তাহলে আমি করজোড়ে অনুরোধ করছি, বিজেপিতে যোগ দেবেন না।’