বাংলা হান্ট ডেস্ক: পড়শি দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। নগদ সঙ্কটের মুখে থাকা পাকিস্তান এখন চিনকে ১০ বিলিয়ন ইউয়ান অর্থাৎ, প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। জানিয়ে রাখি যে, আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চিন থেকে ৩০ বিলিয়ন ইউয়ানের চিনা বাণিজ্য সুবিধা গ্রহণ করেছে।
গভীর সঙ্কটে পাকিস্তান (Pakistan):
এদিকে, গত শনিবার গভীর রাতে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থ মন্ত্রকের জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের বার্ষিক বৈঠকের ফাঁকে চিনের উপ-অর্থমন্ত্রী লিয়াও মিনের সঙ্গে দেখা করেন এবং মুদ্রা বিনিময় চুক্তির অধীনে সীমা বাড়িয়ে ৪০ বিলিয়ন ইউয়ান করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের (Pakistan) সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, চিন যদি পাকিস্তানের এই দাবি মেনে নেয়, তাহলে পাকিস্তানকে দেওয়া তাদের মোট বাণিজ্য সুবিধা ৫.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চিনের কাছে তাদের ঋণ বাড়ানোর প্রস্তাব পেশ করলেও চিন তা গ্রহণ করেনি। পাকিস্তানের নতুন অফারটি চিনের বর্তমান ৪.৩ বিলিয়ন (৩০ বিলিয়ন ইউয়ান) ডলারের সুবিধা আরও তিন বছরের জন্য বৃদ্ধির দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন: চলতি বছরে ৩৫ বার “অল-টাইম হাই”-তে পৌঁছেছে সোনার দাম! কারণ জানলে উঠবেন চমকে
এর আগে, পাকিস্তানকে (Pakistan) বেলআউট প্যাকেজ দেওয়ার পূর্বে IMF তার ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য একটি শর্ত বেঁধেছিল। যার পরে পাকিস্তান তার অসহায়তার কথা উল্লেখ করে চিন এবং সৌদি আরবকে সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করে। পরে, চিন সরকার পাকিস্তানের ঋণের সময়সীমা বাড়িয়েছিল। যার পরে তারা IMF থেকে একটি বেলআউট প্যাকেজ পেতে পারে।
আরও পড়ুন: মাত্র 699 টাকায় মিলবে 4G ফোন! দীপাবলির উপহার নিয়ে হাজির হলেন মুকেশ আম্বানি
এছাড়াও, চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং-এর সাম্প্রতিক সফরের সময়ে উভয় দেশ একটি মুদ্রা বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। যার কারণে পাকিস্তানের (Pakistan) ঋণ পরিশোধের সময়কাল ২০২৭ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। IMF-এর প্যাকেজের আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জানিয়েছিলেন যে এটিই হবে পাকিস্তানের জন্য শেষ বেলআউট প্যাকেজ। যদিও, এর জন্য শুধু সরকারকেই নয় জনগণকেও কিছু সমস্যায় পড়তে হবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।