বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টেট (TET) হোক বা না হোক এই পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই! বিগত দু’বছর ধরে প্রাথমিক টেট নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলছে আদালতে। উঠে আসছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তবে এই অভিযোগ আজকের না। প্রাথমিক টেট (Primary TET) নিয়ে লম্বা অভিযোগ ছিল রাজ্যে। যার জেরে দীর্ঘদিন বন্ধও ছিল প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। এরপর টানা পাঁচ বছর পর ২০২২ সালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়।
কথা রাখবে না পর্ষদ?
২০২২ সালের পর ২০২৩ সালেও যথারীতি টেট নেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল টেট নিয়ে আর কোনও সমস্যা হবে না। নিয়ম করে প্রতি বছর টেট নেওয়া হবে। তবে দু’বছর যেতেই কাটল তাল। এবারে আর কথা রাখতে পারল না পর্ষদ। ২০২৪-এ আর টেট পরীক্ষা হচ্ছে না বলে পর্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পরপর গত দু’বছর যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল সেই চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ যেহেতু করা সম্ভব হয়নি তাই আপাতত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বলেছেন, “আমরা আগে দ্রুত নিয়োগ করব, তারপর আবার পরীক্ষা নেব।” অর্থাৎ এ বছর যে আর টেট হচ্ছে না তা কার্যত স্পষ্ট। এর আগে টেট এর ফর্ম বাবদ ফি নিয়েও বিতর্ক কম হয়নি। গতবছরই ফর্ম ফি বাড়ায় TET পিছু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২৫ কোটি টাকা লাভ করে বলে তোপ দেগেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: নভেম্বর মাসে এত্ত ছুটি! কবে কবে বন্ধ স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি? দেখুন তালিকা
সেই সময় শুভেন্দু বলেছিলেন,’সাধারণ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার ফি বাবদ নেওয়া হয় ৫০০ টাকা। অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জাতিকে দিতে হবে ২৫০ টাকা। তফশিলী জাতি ও উপজাতিদের জন্য পরীক্ষার ফি দিতে হয় না। ৪০০ টাকা করে ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থীর থেকে যদি নেওয়া হয় তাহলে, ৭,০০,০০০*৪০০= ২৮,০০,০০,০০০। পরীক্ষার নামে প্রায় ২৮ কোটি টাকা তুলবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা আয়োজন বাবদ খরচ হবে ৩ কোটি। সবমিলিয়ে নিট লাভ ২৫ কোটি টাকা।’ যদিও পর্ষদ তরফে জানানো হয়েছিল, পরীক্ষার ওপর যেভাবে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, তাতেই খরচ মূলত অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।