বিপাকে কেষ্ট? এবার সোজা ফোন মমতার, যা নির্দেশ দিলেন… সামনে আসতেই শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সদ্য জেলমুক্তি হয়েছে। গরু পাচার মামলায় টানা দু’বছর জেলে ছিলেন বীরভূম (Birbhum) জেলা তৃণমূল (Trinamool Congress) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দুর্গাপুজোর আগেই ছাড়া পেয়ে বর্তমানে কাজে মন দিয়েছেন কেষ্ট। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। তবে জেল থেকে ফেরার পর কাজল শেখের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা যায়নি তাকে। কোর কমিটিকে ছাড়াই বিজয়া সম্মিলনী করছিলেন কেষ্ট। এবারে এরই মাঝে কেষ্টর কাছে ফোন গেল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। যা নিয়ে জেলায় হৈচৈ পড়ে গিয়েছে।

কেন কেষ্টকে ফোন ‘দিদি’র?

জানা যাচ্ছে, আগামিদিনে কোন পথে চলতে হবে, সেই নিয়েই বোঝাতে অনুব্রতকে ফোন করেছিলেন মমতা। আসলে অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের এক কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মমতা। কেষ্ট যাতে সেই কমিটিকে নিয়ে একসঙ্গে চলেন সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে সরাসরি ফোন করে একথা বলেন নি মমতা। কোর কমিটিরই এক সদস্যকে ফোন করেছিলেন মমতা। সেই ফোনেই অনুব্রতর সঙ্গে কথা বলে, কোর কমিটিকে সাথে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। অর্থাৎ জেলায় যে আর ‘একচেটিয়া’ রাখা যাবে না, সেটাই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জেলবন্দি থাকার কারণে বহুদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হয়েছে কেষ্টকে। এবারে আবার আস্তে আস্তে বীরভূমে সংগঠনের হাল ধরেছেন তিনি। অনুব্রত যেমন রাজনীতির চেনা ছন্দে ফিরছে তেমনি অনুব্রতর জেলমুক্তির পর থেকেই ফী বীরভূমে ফের দিকে দিকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ছবিও। বিগত কিছু দিনে বারে বারে বিরোধী গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হতে হচ্ছে অনুব্রত অনুগামীদের। ওদিকে অভিযোগ, অনুব্রত ফিরতেই দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে কোর কমিটি সদস্যদের ছবি।

প্রসঙ্গত, অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর জেলার হাল ধরতে নিজের হাতে কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। অনুব্রতর ‘চেয়ার’ কাউকে না দিলেও সব ক্ষমতা ছিল কোর কমিটির কাছেই। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনেও ভালো মতো দায়িত্ব সামলেছে সেই কোর কমিটি। জেলায় বিপুল ভোটের জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু অনুব্রত অনুব্রত ফিরতেই ফের প্রকাশ্যে আসছে দ্বন্দ্ব। তাতে লাগাম দিতেই কি তবে মমতার ফোন? এই নিয়েই শুরু হয়েছে চৰ্চা।

anubrata mondal

আরও পড়ুন: ‘আমরা আগে..,’ কথার খেলাপ! প্রাইমারি TET নিয়ে খারাপ খবর দিল পর্ষদ, মাথায় হাত চাকরিপ্রার্থীদের

যদিও এই প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, “আমার কাছে এই বিষয়ে কোনও খবর নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেত্রী। তিনি যা নির্দেশ দেবেন, সেটাই মেনে চলতে হবে আমাদের। ” পাশাপাশি অনুব্রত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে ওনার সঙ্গে দেখা করে এসেছি। তবে পৃথক দায়িত্ব থাকার কারণেই দেখা হচ্ছে না।’


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর