ভয়ঙ্কর গাছ! পাতা ছুঁলেই যেন ইলেকট্রিক শক! বেছে নেবেন আত্মহত্যা, কোথায় আছে এই ‘সুইসাইড ট্রি?’

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় আছে ‘একটি গাছ, অনেক প্রাণ।’ জীবজগতের ভারসাম্য রক্ষায় গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে প্রাণীকূলের সবচেয়ে পরম বন্ধু গাছ যে মানুষের জীবনে অভিশাপ হয়ে উঠতে পারে সেই কথা কখনো শুনেছেন? অস্ট্রেলিয়ার রেন ফরেস্টে রয়েছে এমনই এক ধরনের গাছ (Tree) যার সংস্পর্শে এলে শরীরে শুরু হয় ভয়ানক যন্ত্রণা। এমনকি সেই যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন এমন উদাহরণও রয়েছে।

গাছেই (Tree) লুকিয়ে রয়েছে মৃত্যুর কারণ

অস্ট্রেলিয়ার (Australia) প্রাণী ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের সমাহার যুগযুগ ধরে আমাদের মনে বিস্ময় জাগিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার রেন ফরেস্টে থাকা জিম্পি জিম্পি নামক গাছটি আজও গবেষণার বিষয় বিজ্ঞানীদের কাছে। অস্ট্রেলিয়ার মৌসুমী অরণ্য বা রেন ফরেস্টের এই গাছ নিয়ে উঠে আসে নানারকম ঘটনা। অনেকেই বলেন এই গাছের (Tree) পাতা ছুঁলে উন্মাদ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

Suicide Tree

দূর থেকে এই গাছের (Tree) পাতা দেখলে পান পাতার সাথে সামঞ্জস্য খুঁজে পেতে পারেন। তবে একটু কাছে গেলেই এই গাছের তুমুল দুর্গন্ধ পরিচয় দেবে এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। হার্ট শেপের এই পাতাগুলির উপর থাকে অজস্র সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কাঁটা। অস্ট্রেলিয়ার জিম্পি শহরের নামানুসারে এই গাছের নামকরণ করা হয় জিম্পি জিম্পি। নেটল প্রজাতির এই গাছগুলির উচ্চতা প্রায় ৩ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। চওড়ায় প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় জিম্পি জিম্পি।

আরোও পড়ুন : ‘শেষ দেখে ছাড়তে হবে’! আচমকাই উধাও তিলোত্তমার প্রতীকী মূর্তি! বিরাট পদক্ষেপ বামেদের

এই গাছের বিষাক্ত পাতা যদি শরীরে স্পর্শ করে তাহলে কাঁটার মাধ্যমে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে ভয়ানক বিষ। এই বিষের প্রভাব থাকতে পারে বছরের পর বছর। একসাথে অজস্র বোলতার কামড় আর ইলেকট্রিক শকের অনুভূতি হতে পারে এই গাছ স্পর্শ করলে। এমনকি এই গাছের বিষ এতটাই ভয়ংকর যে অনেকের মধ্যে পাগলামোর লক্ষণও প্রকাশ পায়। অনেকে আবার মস্তিষ্ক বিভ্রমের শিকার হয়ে বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ।

জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন  অস্ট্রেলিয়ার এক সেনাকর্মী শৌচকর্মের সময় ব্যবহার করে ফেলেছিলেন জিম্পি জিম্পি গাছের (Tree) পাতা। তারপর তাকে শরীরে ভয়ানক যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা চললেও সুস্থ হননি সেই সেনাকর্মী। হাসপাতালের শৌচাগারে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর