বাংলাহান্ট ডেস্ক : ২৪ তারিখ বাংলা এবং উড়িষ্যার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে “দানা” (Cyclone)। দানার ডানা ঝাপটানো দেখে রীতিমতো বঙ্গবাসী কাঁপতে শুরু করে। যদিও সরকারের তরফ থেকে অনেক আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। বিপর্যস্ত এলাকাগুলি থেকে মানুষজনদের সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বিপদ মুক্ত জায়গায় রাখা হয়। শুধু তাই নয়, বাংলায় যাতে আমফানের মত অবস্থা না হয় তার জন্য আগে থেকেই প্রশাসন তৎপর হয়ে পড়ে। জল নিকাশি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স, হেল্পলাইন নম্বর, সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা করা হয়। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি, এখনো দানার প্রভাব খুব একটা কাটেনি, তার আগেই নতুন ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) নামকরণ করে ফেলেছেন আবহাওয়াবিদরা। এখন প্রশ্ন আগামী যে ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে তার নাম কি হবে?
গভীর সমুদ্রে কখন নিম্নচাপে তৈরি হয় তা আগে থেকে বলা দুষ্কর। তবে বেশিরভাগ সময়ই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) এসেছে হয় মে মাসে, নয় অক্টোবর কিংবা নভেম্বরের দিকে। আর এই নিয়ে আবহাওয়াবিদরা নানা পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করে মোটের উপর দেখেছেন যত ঘূর্ণিঝড় জন্ম নেয় সব এপ্রিল থেকে মে-তে নয়তো অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে। এরপর বঙ্গোপসাগরের থেকে তা আছড়ে বাংলার বুকে। কিংবা ওড়িশা, বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে যায়।
আরো পড়ুন : ‘তাঁর’ অস্তিত্ব উপলব্ধি করতেন! ‘অদ্ভূত শক্তি কাজ করত’, ‘বামাখ্যাপা’র সময় কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল অরিন্দমের?
প্রশ্ন হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) যে নামকরণ করা হয় তা কারা করতে পারে?
আপনাদের জানিয়ে রাখি যত সাইক্লোনই এসেছে তার নামকরণের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ পন্থা অবলম্বন করা হয়। ওয়ার্ল্ড মেটেরিওলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের নির্ধারণ করার নিয়ম অনুযায়ী সাইক্লোনের নামকরণ করতে পারে বিশেষ কয়েকটি দেশ। দেশগুলি হচ্ছে – ভারত, বাংলাদেশ, ইরান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ইয়েমেন।
আরো পড়ুন : থাকতেন মেসে, খিদে মেটাত ফুটপাতের ঝালমুড়ি, ‘কলকাতার জামাই’ অমিতাভের প্রথম চাকরিও এ শহরে! জানতেন?
এবার প্রশ্ন আগামী কোন ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে?
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) দানা প্রকোপ দেখিয়ে গেলো, উড়িষ্যা সহ বাংলায়। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে কাতার। আবহাওয়াবিদদের মতে এরপর ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) এলে তার নামকরণ করবে সৌদি আরব। আর তার নাম হবে ফেংগাল। তবে ঠিক কি হিসেবে এই নামকরণ করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। উল্টোদিকে ফেংগালের পর আসতে পারে শক্তি। যার নাম ঠিক করেছে শ্রীলঙ্কা।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, বাংলা জুড়ে দানার দাপট যতটা হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি। এমনকি আগেভাগে প্রস্তুতি নেওয়ায় ফলে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গেছে দীঘা সহ বাংলার উপকূল এলাকা গুলি।