বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময় যত এগোচ্ছে ততই যেন পৃথিবীর (Earth) আয়ু কমে আসছে। নিত্যদিন পৃথিবীর বুকে কোনো না কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েই চলছে। আর ক্ষয়ক্ষতি করছে কারা আমরা অর্থাৎ মানুষরা। কিন্তু সকলে ভুলে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত এই অত্যাচার আজ পৃথিবীকে (Earth) ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অনেকের মুখেই হামেশা একটা প্রশ্ন ঘুরে ফিরে শোনা যায় যে, পৃথিবীর আয়ু কতদিন? এবার এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ করলেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে, খুব শীঘ্রই একদিন মানুষ এবং প্রাণীসহ গোটা জীবন পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। পৃথিবীও সম্পূর্ণরূপে হয়ে যাবে ধ্বংস। গোলাকার পিণ্ড আর দেখা যাবে না। এই নিয়ে বিজ্ঞানীরা একেবারে দিনক্ষণ সমস্ত কিছু জানিয়ে দিয়েছেন
কবে পৃথিবী (Earth) বিলুপ্ত হয়ে যাবে?
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা একটি প্রতিবেদনে এই বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যাচ্ছে আগামী ২৫০ মিলিয়ন বছর পরে পৃথিবীতে (Earth) বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। আর ঠিক সেই সময় পৃথিবী থেকে গোটা প্রাণীকুল বিলুপ্ত হতে থাকবে। সেইসময় পৃথিবী পুরো মানব শূন্য হয়ে পড়বে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এমন কি জানা গিয়েছে, পৃথিবীতে তাপমাত্রাও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এই তাপমাত্রা সাধারণ মানুষ সহ্য করতে পারবে না।
আরো পড়ুন : ‘জুতো পেটা করব’! উপনির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বেফাঁস সায়নী? TMC সাংসদ যা বললেন … তোলপাড়
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে জানিয়েছেন, পৃথিবীর (Earth) এমন পরিস্থিতির পিছনে রয়েছে মানবজগত। কারণ বর্তমানে যে হারে কার্বনের পরিমাণ বেড়ে চলছে তাতে খুব শীঘ্রই পৃথিবীতে প্রাণ শেষ হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আসলে দিনের পর দিন গাছ কেটে ফেলা, সেইসাথে বনভূমির ক্ষয় আজ এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই বিষয় উল্লেখ করে বিজ্ঞানীরা ৬৬ মিলিয়ন বছর আগের ঘটনাও আলোকপাত করেন।
আরো পড়ুন : থাকতেন মেসে, খিদে মেটাত ফুটপাতের ঝালমুড়ি, ‘কলকাতার জামাই’ অমিতাভের প্রথম চাকরিও এ শহরে! জানতেন?
বিজ্ঞানীদের মতে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে (Earth) ঠিক এমনই অবস্থা হয়েছিল আর সেই সময় ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে যায়। তাদের মতে, “সে সময় অর্থাৎ ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীতে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ছিল এখনকার থেকে দ্বিগুণ। এতে শরীর উত্তপ্ত হয়ে জীবিত প্রাণী মারা যায়। তারপর পৃথিবীর সমস্ত ভূখন্ড একত্রিত হয়ে সুপারকন্টিনেন্ট প্যানজিয়া আল্টিমা তৈরি করে।”
বিজ্ঞানীদের মতে, হঠাৎই প্রাণী জগৎ বিলুপ্ত হবে না। প্রথমে পৃথিবীর (Earth) উষ্ণতা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। এরপর পৃথিবী শুকিয়ে যাবে এবং বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে। বিশেষ করে, এই সময় অগ্নুৎপাত বেড়ে যাবে। তার কারণ হচ্ছে আগ্নেয়গিরি গুলি অতিরিক্ত তাপ সহ্য করতে পারে না যার ফলেই অগ্নুৎপাত ঘটে। আর তাই পৃথিবী উষ্ণ হয়ে উঠলে এমনটাই ঘটবে। আর এই পরিস্থিতিতে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ হতে শুরু করলে স্বাভাবিকভাবে জীবন শেষ হয়ে যাবার সম্ভাবনাই থাকে।
এছাড়াও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারণে পৃথিবীপৃষ্ঠে প্রচুর প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়তে থাকবে, আর অক্সিজেনের পরিমাণ কমতে শুরু করবে। আর অক্সিজেনের অভাবেই ঘটবে মানুষের মৃত্যু। শুধু মানুষ নয় গোটা জীবজগতই এইভাবেই শেষ হয়ে যাবে।