বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে চলছে আর জি কর মামলা। এই আবহেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার (Government Of West Bengal)। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তোপের মুখে পড়ে আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করেছিল। এবার ফের সিভিক ভলান্টিয়াদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। যা নিয়ে অনেকটাই চিন্তা কমলো সিভিকদের।
বিগত বহু সময় ধরে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ‘দাদাগিরি’র নানা নিদর্শন সামনে এসেছে। সম্প্রতি আর জি কর ঘটনার পর সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। আর জি কর (RG Kar) মামলার শেষ দুই শুনানিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভৎসর্নার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার।
এদিকে উত্তপ্ত আবহেই সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সিভিককে নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর চেয়ে পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এবার এই সব প্রশ্নের ‘জবাব’ দিতেই কলকাতা পুলিশে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া হবে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
সূত্রের খবর, এবার থেকে সিভিকদের একুশ দিনের নন-রেসিডেনসিয়াল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশের তরফে। লালবাজারের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে এই নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের খবর সামনে আসতেই মুখে হাসি ফুটেছে সিভিকদের। কারণ এই প্রশিক্ষণ মিললে তারা আরও অনেক এমন কাজ করতে পারবেন যা এখন তারা করতে পারেন না।
জানা যাচ্ছে, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে যাবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ শিবির। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ১৬০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নামের তালিকা জমা করতে হবে লালবাজারে। ধাপে ধাপে সকলের প্রশিক্ষণ হয়ে যাবে একে একে। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে লালবাজার তরফে নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ৩% DA বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার, বকেয়া ডিএ-র টাকাও মেটানো হচ্ছে, তবে কিস্তিতে
প্রসঙ্গত, আর জি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তার ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত হিসেবে যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। খুনের ঘটনায় সঞ্জয়ের যোগ নিয়ে একাধিক প্রমাণের উল্লেখ রয়েছে সিবিআই চার্জশিটে। আর জি কর মামলার শেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, হাসপাতাল এবং স্কুলের মত সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যাবে না। তাই এবার ট্রাফিক-সহ নিরাপত্তার কাজে তাদের লাগানোর উপর আরও জোর দেওয়া হচ্ছে।