বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছর খানেক আগের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের মা ভবতারিণীর ছবি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। আর পাঁচটা মায়ের ছবির মতো যে ছিল না সেটা। যে ছবি দেখে সকলে কপালে ছোঁয়াচ্ছিলেন, সেই ছবির প্রতিমা ছিল চিন্ময়ী। অভিনেত্রী শ্রুতি দাসকে (Shruti Das) মা ভবতারিণীর রূপে কেউই চিনতে পারেননি। এক বছর পর সেই শ্রুতির স্বপ্নেই এলেন বড়মা। কালীপুজোর ঠিক আগেই নৈহাটির জাগ্রত বড়মাকে স্বপ্নে দেখলেন অভিনেত্রী। কী স্বপ্নাদেশ দিলেন মা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শ্রুতি (Shruti Das)
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন শ্রুতি (Shruti Das)। এদিন সেখানেই একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। তাঁর পোস্টে বড়মার কয়েকটি ছবি। এক হাতে খড়গ, অন্য হাতের মুদ্রায় বরাভয়। গলায় ভরাট সোনার অলঙ্কার আর জবার মালা। বড়মার সেই চিরাচরিত রূপ। কিন্তু একটু ভালো করে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে এই বড়মা প্রতিমা নন, রক্ত মাংসের মানুষ। আসলে মেকআপ শিল্পী সুরঞ্জন দাস মডেল পিয়াই দত্তকে বড়মার রূপদান করেছেন। আর সূক্ষ্ম এবং নিখুঁত কাজে আসল নকলের ফারাক বোঝা দায়।
আরো পড়ুন : কার্তিকের মুখে কাঞ্চন-স্তুতি, ভুলভুলাইয়া ৩-তে মল্লিক ম্যাজিক! গর্বে বুক ফুলল শ্রীময়ীর
কী স্বপ্ন দেখলেন অভিনেত্রী
এই ছবিগুলিই শেয়ার করে নিজের স্বপ্নের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন শ্রুতি (Shruti Das)। তিনি লিখেছেন, ‘স্বপ্ন দেখলাম বড়মাকে অনেক উঁচুতে উঠে বরণ করছি। ঘুম থেকে উঠে দেখি অধিকাংশ পোস্ট ওনাকে নিয়ে। জয় বড়মা! কপালে থাকলে আবার তোমায় একদিন দেখতে যাব মা’। সঙ্গে মেকআপ শিল্পীর কাজের প্রশংসাও করেছেন শ্রুতি (Shruti Das)।
আরো পড়ুন : উলটে গেল সব হিসেব নিকেশ, ‘পরিণীতা’র স্লটে বড় গুগলি চ্যানেলের! কোন সিরিয়াল বন্ধ হচ্ছে?
মা ভবতারিণী রূপে ভাইরাল হয়েছিল শ্রুতি
বর্তমানে অনেক মেকআপ শিল্পীকেই দেখা যায় তুলির টানে মডেলদের প্রতিমার রূপ দিতে। মা ভবতারিণী, নৈহাটির বড়মা, কৃষ্ণনগরের বুড়িমা থেকে শ্যামসুন্দরী মায়ের রূপদান করেন তাঁরা মডেলদের উপরে। অনেকের অপরূপ নিখুঁত কাজ ভাইরালও হয়। শ্রুতি (Shruti Das) নিজেও মডেল হয়েছিলেন মেকআপ শিল্পী মুক্তি রায়ের। তাঁর ভবতারিণী রূপ দেখে চমকে গিয়েছিলেন সকলে।
প্রসঙ্গত, আর দুটো দিন পরেই কালীপুজো। শক্তিপীঠগুলিতে হবে মায়ের আরাধনা। নৈহাটির বড়মার পুজোয় এদিন তিল ধারণের জায়গা থাকে না। গত বছরেই ১০০ বছর পূর্ণ হয়েছে নৈহাটির বড়মার। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে শুরু হয় ২১ ফুটের প্রতিমা তৈরির কাজ। মায়ের সর্বাঙ্গে সাজানো থাকে সোনা এবং রূপোর গয়না। প্রবাদ আছে, ‘ধর্ম যার যার, বড়মা সবার’। মায়ের কাছে কিছু চাইলে মা নাকি কাউকে ফেরান না। এই বিশ্বাস থেকে সারা বছরই নৈহাটির বড়মার কাছে লেগে থাকে ভক্তদের ঢল।