বাংলাহান্ট ডেস্ক : শহর কলকাতার গর্ব হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge)। ভারতে দীর্ঘ ব্রিটিশ শাসনের যে গুটি কয়েক ভালো দিক রয়েছে তাদের মধ্যে এটি অন্যতম। ব্রিটিশদের তৈরি ব্রিজ আজও শোভা বর্ধন করে চলেছে তিলোত্তমার। একই সঙ্গে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ, যানবাহনকে গঙ্গা পারাপার করিয়ে দুটি শহরের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করে চলেছে। হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) নাম মাহাত্ম্য এতটাই যে কলকাতার বাইরে থেকে যাঁরা এ শহরে ঘুরতে আসেন, তাঁদের দর্শনীয় স্থানের লিস্টিতেও থাকে হাওড়া ব্রিজের নাম।
হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) ইতিহাস
হুগলী নদীর উপরে তৈরি এই সুবিশাল ইস্পাত নির্মিত সেতুটি মূলত কলকাতা এবং হাওড়ার মধ্যে সংযোগ রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এর জন্ম সেই ইংরেজ আমলে। প্রথমে হুগলী নদীর উপরে ছিল ভাসমান সেতু, যাকে বলে পন্টুন ব্রিজ। নৌকার উপরে পাটাতন বসিয়ে তৈরি হয়েছিল সেতু। স্টিমার, জাহাজ চলাচলের জন্য সেতুর মাঝখানে খুলে দেওয়া হত। স্টিমার পেরিয়ে গেলে ফের খুলত সেতু। বর্তমানে যে হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge), সেই বহির্বাহু সেতু তৈরির কাজ শুরু হয় ১৯৩৭ সালের শেষ হয় ১৯৪২ এ। জনসাধারণ এবং যানবাহন চলাচলের অনুমতি মেলে আরো এক বছর পর।
আরো পড়ুন : ছোট থেকে কখনো অভাব দেখেননি, ক্লাস ১১-এই প্রথম সিরিয়াল, কীভাবে অভিনয়ে এলেন দেবাদৃতা?
কত ইস্পাত লেগেছিল সেতু নির্মাণে
জানা যায়, হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge) তৈরিতে টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানি থেকে দেওয়া হয়েছিল সাড়ে ২৩ হাজার টন ইস্পাত। প্রথমে এই ব্রিজের নাম ছিল নিউ হাওড়া ব্রিজ। ইংরেজরাই রেখেছিল এই নাম। যদিও কালক্রমে লোকের মুখে মুখে ‘নিউ’ অবলুপ্ত হয়ে পড়ে থাকে শুধু হাওড়া ব্রিজ (Howrah Bridge)। তবে জানেন কি, এই সেতুর একটি ‘ভালো’ নামও আছে?
আরো পড়ুন : মেয়ের জন্মের পর এ কী হাল! শুভশ্রীকে দেখে চেনা দায়! চোখ কপালে নেটপাড়ার
হাওড়া ব্রিজের বাংলা নাম কী
হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) বাংলা নাম কী? প্রশ্ন শুনলে অনেকেই হোঁচট খাবেন। আসলে সেতু নির্মাণের অনেক পরে বাংলা নামটি দেওয়া হলেও সেটি তেমন ব্যবহার করা হয় না। লোকমুখে হাওড়া ব্রিজ নামটাই বেশ প্রচলিত।
১৯৬৫ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে নতুন নামকরণ হয় হাওড়া ব্রিজের, রবীন্দ্র সেতু। এই নামটি কচিৎ কদাচিৎ শোনা গেলেও হাওড়া ব্রিজ নামটাই সকলের কাছে বেশি পরিচিত।