বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তিনি। এখন অবশ্য জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই জীবন কাটছে সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh)। সম্প্রতি পারিবারিক খরচ সহ বেশ কিছু খরচ সামাল দিতে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এবার এই নিয়েই সামনে আসছে বড় আপডেট!
আরও বড় বিপাকে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)?
সম্প্রতি নিজের ৪টি ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙতে চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সন্দীপ। এই মামলায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) স্পষ্ট জানিয়েছে, সিবিআইকে পার্টি করতে হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে তারা আদৌ এই এফডি ভাঙতে দেবে কিনা। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সিবিআইকে নিজের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
এবার জানা যাচ্ছে, ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙায় সায় নেই সিবিআইয়ের (CBI)। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এফডি সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন সন্দীপ। আর দুর্নীতিও সেই সময় হয়েছিল। ওই সময়কালেই আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এফআইআর করেছিলেন তৎকালীন নন মেডিক্যাল সুপার আখতার আলি।
আরও পড়ুনঃ থানায় ঢুকে পুলিশকে ‘মারধর’! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! সরব শুভেন্দু
জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে সিবিআই আরও তদন্ত করতে চায়। বুধবার বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই সম্বন্ধিত রিপোর্ট জমা নিয়েছে। সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) এফডি ভাঙার আবেদন আদৌ মানা হবে কিনা সেটা আগামী সোমবার আদালত জানাবে বলে খবর।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার (RG Kar Case) পরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করে। তাঁর জমানায় আরজি কর হাসপাতালে কী কী দুর্নীতি হয়েছে সেই অভিযোগ সামনে আসে। দেহ পাচার থেকে শুরু করে টেন্ডার দুর্নীতি, সন্দীপের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ।
এদিকে এই মামলার তদন্তে নেমে আবার আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ক্যানিং ২ ব্লকের নারায়ণপুর পঞ্চায়েত অঞ্চলে সন্দীপের (Sandip Ghosh) একটি বাংলোর খোঁজ মেলে। এছাড়া নিউটাউন এলাকা থেকে শুরু করে বেলঘরিয়া, একাধিক জায়গায় তাঁর আরও বেশ কিছু সম্পত্তির খোঁজ পান তদন্তকারীরা।