বাংলাহান্ট ডেস্ক : অস্বাস্থ্যকর জীবনে আজকাল সকলেই অসুস্থ। না আছে শরীরে জোর, আর না আছে জৌলুস। কথায় আছে, দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝা উচিত। কিন্তু কে শোনে কার কথা। বদ অভ্যাস, অনিয়মিত জীবন যাপন আপনাদের জীবনে ঘনিয়ে আনে গুরুতর অসুখ। তেমনি একটি গুরতর অসুখ হচ্ছে কিডনিতে স্টোন। আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইঞ্জিন হচ্ছে কিডনি (Kidney)। ডাক্তারি পরিভাষায় কিডনিকে ছাঁকনি বলেও গণ্য করা হয়। কারণ কিডনির দ্বারা শরীর থেকে সমস্ত দূষিত পদার্থ, টক্সিন ছেঁকে বেরিয়ে আসে। আর কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়লেই আপনার জীবন মৃত্যুর দুয়ারে।
কিন্তু কিডনির (Kidney) সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হচ্ছে পাথর হওয়া। আমাদের ভারতে অধিকাংশ মানুষই প্রায়শই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। আর এই সমস্যার কারণ অনেক সময় মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে কিডনিতে (Kidney) তৈরি হওয়া পাথরের আকারের উপর। কিন্তু পাথর ছোট হোক বা বড় প্রথম থেকেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে প্রশ্ন হচ্ছে কিডনিতে পাথর হলে বুঝবেন কি করে। আপনার শরীরে এই উপসর্গগুলি দেখা দিলেই বুঝতে পারবেন কিডনিতে পাথর হয়েছে।
আরো পড়ুন : হয়ে গেল কনফার্ম! ফের RCB-র অধিনায়ক হবেন বিরাট কোহলি, ২০২৫-এর IPL-এ উঠবে ঝড়
কিডনিতে (Kidney) পাথর হওয়ার লক্ষণ:
১) কিডনিতে (Kidney) পাথর হলে পিঠের দিকে এবং পাঁজরে দুই দিকে অত্যাধিক মাত্রায় যন্ত্রনা শুরু করে। প্রথম দিকে এই যন্ত্রণার মাত্রা কম থাকলেও, পরবর্তীতে যন্ত্রণা তীব্র আকার ধারণ করে। যত বেশি সময় যায় ততই যন্ত্রণার পরিমাণ বাড়তে থাকে।
আরো পড়ুন : ফ্রিজে রাখার পরও পনির শক্ত ইট? এভাবে রাখলে নষ্ট হবে সহজে, তাজা থাকবে দীর্ঘদিন, কি সেই টিপস দেখুন!
২) এছাড়াও ব্যথা হয় তলপেটে। মেয়েরা এই ব্যথাকে মাসিকের ব্যথা বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু এ ভুল করবেন না ছেলে হোক কিংবা মেয়ে তলপেটে ব্যথা হলে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। কিডনিতে (Kidney) স্টোন হওয়ার কারণেই অনেক সময় এই ব্যথা সৃষ্টি হয়।
৩) সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি হচ্ছে প্রস্রাব। প্রস্রাব করার সময় কষ্ট হওয়া কিংবা জ্বালা অনুভব এটি অন্যতম লক্ষণ। চিকিৎসকদের মত অনেক সময় প্রস্রাব করতে গিয়ে রক্তপাত পর্যন্ত হতে পারে। তাই এই বিষয়টিকে সাধারণ লক্ষণ বলে এড়িয়ে যাবেন না অবিলম্বে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
৪) এই লক্ষণ গুলি ছাড়াও আরো একটি বিশেষ লক্ষণ এর উপর নজর দেওয়া উচিত। সেটি হচ্ছে খেতে অরুচি, বমি বমি ভাব, শারীরিক ক্লান্তি এই রোগের লক্ষণ। তবে অনেকেই এই লক্ষণগুলিকে বেশিরভাগ সময়, গ্যাস অম্বলের লক্ষণ বলে দায়সারা ভাবে নিয়ে থাকেন। তাই এমনটি করতে যাবেন না।
৫) বিশেষজ্ঞদের মতে কিডনিতে (Kidney) পাথর জমলে ঘন ঘন জ্বর আসতে থাকে। আসলে শরীর থেকে টক্সিন পদার্থগুলো বেরিয়ে না যাবার ফলেই শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই এই লক্ষণগুলি দেখা মাত্রই তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন কিডনিতে পাথর জমে?
চিকিৎসকদের মতে কিডনিতে (Kidney) পাথর জমার বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জল কম খাওয়া। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। এছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস এই রোগের অন্যতম কারণ। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত ফাস্টফুড, দুধ, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলেও কিডনিতে পাথর হতে পারে।