বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী মাসে নির্বাচন রয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন নেতা-মন্ত্রীরা। আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে বিধানসভা নির্বাচন। গতকাল ২৯ অক্টোবর বিকেল তিনটে পর্যন্ত ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময়। সেই মতোই সমস্ত দলের পক্ষ থেকে একের পর এক মনোনয়ন পত্র জমা পড়তে থাকে।
রেগে আগুন কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন মন্ত্রী
কিন্তু বিপাকে পড়েন এক প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) মন্ত্রী। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে তাঁর সে কি জৌলুস! আর এই জৌলুসই কাল হল তাঁর। এদিন নিজের সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় বেশ কায়দা করে জৌলুস করে বেরিয়ে ছিলে কংগ্রেস (Congress) সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি দলের নেতা অনীশ আহমেদ।
জৌলুস করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়াই সার হল প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) মন্ত্রীর । নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জেলা শাসকের দপ্তরে যেতে না পারে এদিন তাঁর সময় বহির্ভূত মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হল না। এবছর দলের তরফ থেকে মধ্য নাগপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট পেয়েছিলেন অনীশ আহমেদ। এদিন তিনি অফিসের প্রধান দরজায় মধ্যে ঢুকে গেলেও, জেলা শাসকের দপ্তরে পৌঁছাতে আরো দু’মিনিট বেশি সময় লেগে যায় তাঁর।
আর তাতেই একটুর জন্য ফসকে যায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ। আর মাত্র দু’মিনিটের জন্য মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করায় রেগে আগুন কংগ্রেসের প্রাক্তন এই মন্ত্রী। বিশেষ করে জেলা শাসকের দপ্তরে প্রবেশ করেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা না দিয়ে বেরিয়ে আসতে হওয়ায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন অনীশ আহমেদ।
আরও পড়ুন : বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই বিয়েবাড়ি! জ্বলছে ৬ ঘণ্টা ধরে, পুড়ে মৃত ১
এদিনের ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তাঁর অভিযোগ ষড়যন্ত্র করেই এদিনতাঁর মনোনয়নপত্র নেওয়া হয়নি। এমনকি বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়নি বলেই অভিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এইটুকু সময় দেরি হওয়ার জন্য আমার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হলো না।’
এছাড়া দিন তিনি প্রশ্ন তুলেছেন অফিসের প্রধান দরজায় ঢুকে যাওয়ার পরেও কেন মনোনয়ন বাতিল করা হবে? তাছাড়া তার যে প্রতিনিধি অফিসের ভিতরেই ছিলেন তাকেই বা কেন ঢুকতে দেওয়া হল না? শুধু তিনি নয় বিরোধী শিবিরের অভিযোগ বিরোধী দলের নেতা হওয়ার কারণেই তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হল। অথচ যদি এই একই ঘটনা শাসকদলের কোন নেতার সাথে ঘটতো তাহলে এটা কোন ব্যাপারই ছিল না।