পড়ুয়ারা নয়! অন্যের অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার ১০,০০০ টাকা! তরুণের স্বপ্ন ঘিরে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পড়ুয়াদের ট্যাব কিংবা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০,০০০ টাকা করে দিয়ে থাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তরুণের স্বপ্ন (Taruner Swapna) প্রকল্পের মাধ্যমে এই টাকা দেওয়া হয়। এবার এই নিয়েই সামনে আসছে বড় খবর! জানা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারের এই স্কিমে আবেদন করলেও পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা ঢোকেনি। উল্টে তা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে।

  • অন্যের অ্যাকাউন্টে পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার টাকা (Taruner Swapna)!

রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটেছে চণ্ডীপুরের দু’টি বিদ্যালয়ে। মুরাদপুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ এবং দিবাকরপুর হাইস্কুলের ২৬ জন শিক্ষার্থীর ট্যাব কেনার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আবার এতে সাইবার প্রতারণার গন্ধ পাচ্ছেন।

জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই চণ্ডীপুরের ওই দুই বিদ্যালয়ের তরফ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দিবাকরপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দনকুমার বেরা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের ২০০ জন শিক্ষার্থী তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে (Government Scheme) আবেদন করেছিল। তাঁদের মধ্যে ১৫ জনের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে ঢোকার কারণে তাঁরা বঞ্চিত হয়েছেন’।

আরও পড়ুনঃ ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’, তোলপাড় রাজ্য

মুরাদপুর বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার মিত্রও জানান, তাঁদের বিদ্যালয়ের ১১ জন পড়ুয়ার ট্যাব কেনার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনার জেরে সমস্যায় পড়েছেন দুই স্কুলের ২৬ জন শিক্ষার্থী। অন্যদিকে স্কুল কর্তৃপক্ষরা আবার এর নেপথ্যে সাইবার জালিয়াতির গন্ধ পাচ্ছেন। কীভাবে একজনের টাকা অন্যজনের অ্যাকাউন্টে চলে গেল সেটাই এখন ভাবাচ্ছে তাদের।

Taruner Swapna scheme

চণ্ডীপুর থানার ওসি দীপক অধিকারী জানান, এই সংক্রান্ত অভিযোগ আসতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে তরুণের স্বপ্ন (Taruner Swapna) প্রকল্পের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার এই ঘটনা সাইবার জালিয়াতির জন্য ঘটেছে নাকি পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে, সেটা প্রাথমিক তদন্তে পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি বলেন, শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে বলে অনুমান করছেন।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর