বাংলা হান্ট ডেস্ক : ওড়িশার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার সাথে সাথে বিরাট রাজনৈতিক বালাবদলের সাক্ষী থেকেছে দেশ। রাজ্যের পাঁচ-বারের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে (Naveen Patnaik) হারিয়ে প্রথমবার ওড়িশায় একক ক্ষমতায় সরকার গঠন করেছে বিজেপি। ক্ষমতায় আসার মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল দল।
কমে গেল নবীন পট্টনায়কের (Naveen Patnaik) নিরাপত্তা
বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ হারালেও নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik) বর্তমানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের নেতা। সেই হিসেবে বিজেডি প্রধান নবীন (Naveen Patnaik) একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান নিরাপত্তা পাওয়ার কথা। এতদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন এই প্রবীণ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
কিন্তু বৃহস্পতিবার আচমকাই তাঁর নিরাপত্তা কমিয়ে আনা হয় ‘ওয়াই’ ক্যাটেগরিতে। তাই এবার থেকে ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন মাত্র দুজন পুলিশ কনস্টেবল। সম্প্রতি ওড়িশার ভিআইপিদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান যাচ্ছে। সাধারণত উড়িষ্যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের জন্য নিরাপত্তার জন্য দুজন নিরাপত্তা কর্মী থাকে।
বিজেডি প্রধানের ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হবে না। তবে প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা যায়। নবীন পট্টনায়েকের ক্ষেত্রে এমনটাই হবে। তবে বিরোধী দলনেতা নবীন পট্টনায়েক যদি কখনও ভুবনেশ্বরের বাইরে যান তাহলে সে ক্ষেত্রে পুলিশ কর্তারাই তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে দুজন সিনিয়র প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিককে তাঁর নিরাপত্তার কাজে যুক্ত করেছেন।তাঁরা প্রত্যেকেই নাকি সম্প্রতি সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। নবীন পট্টনায়েক যখন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর বাসভবন ‘নবীন নিবাস’- এর নিরাপত্তার দায়িত্বে তিনটি শিফটে মোট ২৬৮ জন পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকতেন।
আরও পড়ুন : কেন্দ্রের অনুদান পেতে মরিয়া রাজ্য! দ্রুত ‘জিয়ো ট্যাগ’ সম্পন্ন করার নির্দেশ নবান্নের
তবে এবার বিধানসভা নির্বাচনে হার হয়েছে প্রায় আড়াই দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা নবীন পট্টনায়েকের বিজু দলের। আর তারপরেই এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর বাড়ির নিরাপত্তা কমিয়ে আনা হয়েছিল। এতদিন সবমিলিয়ে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ২৩ জন নিরাপত্তা কর্মী। এবার তা আরও কমিয়ে আনলো ওড়িশার নতুন সরকার।
প্রসঙ্গত এইভাবে নিরাপত্তা কমে যাওয়াটাকে ভারতীয় রাজনীতিতে খুব একটা ভালো চোখে দেখা হয় না। রাজনীতিতে নিরাপত্তা কমে যাওয়ার বিষয়টিকে অনেকেই সম্মানহানি বা গুরুত্ব কমে যাওয়া বলে মনে করে থাকেন। আর এইভাবে আচমকা বিজেপি প্রধানের নিরাপত্তা কমে যাওয়াকে এই বিষয়টিকে বিজেপির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই মনে করছেন বিজেডি।