‘ওদের মধ্যেই হয়তো অপরাধী লুকিয়ে…’! তিলোত্তমার মায়ের সন্দেহের তালিকায় এবার কারা?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই বিচারের দাবিতে সরব জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। রাজপথে নেমে মিছিল থেকে শুরু করে আমরণ অনশন, বাদ যায়নি কিছুই। সপ্তাহখানেক আগে তাদের আদলেই জুনিয়র চিকিৎসকদের একটি নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। নাম রাখা হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন তিলোত্তমার (RG Kar Case) বাবা-মা।

  • নতুন সংগঠন নিয়ে কী বললেন আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বাবা-মা?

জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্যদের কথায়, অ্যাসোসিয়েশনের ‘মুখ’ হিসেবে যারা রয়েছেন, তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধেই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজে ‘হুমকি সংস্কৃতি’র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাঁরা আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেও অভিযোগ রয়েছে। যে সন্দীপ কিনা আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি এবং চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এমতাবস্থায় এবার জুনিয়র ডাক্তারদের এই নতুন সংগঠনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিলোত্তমার বাবা-মা।

আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) নির্যাতিতার মায়ের আশঙ্কা, ‘থ্রেট কালচারে অভিযুক্তরাই এখন বিচারের দাবিতে সংগঠন তৈরি করেছে। ওরা বিচার চাই বলছে। ওদের মধ্যেই হয়তো অপরাধী লুকিয়ে রয়েছে’। তিলোত্তমার বাবা আবার বলেন, ‘ওদের উদ্দেশ্য কী জানি না। সবাই বিচার চাই, বিচার বলছে। তবে কীভাবে বিচার আনবে, সেটা বলছে না। এতে আমাদের মনে চাপ বাড়ছে’।

আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজোয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র ছোঁয়া! অভিষেক থেকে ফিরহাদ, আর এলেন কে কে?

গত ৯ আগস্টের পর উথালপাথাল হয়ে গিয়েছে তিলোত্তমার মা-বাবার জীবন। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর আড়াই মাস কেটে গেলেও তাঁদের মনে সন্তান হারানোর ক্ষত এখনও টাটকা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন তাঁরা। এখনও সময় দিতে পারেননি অমিত শাহ (Amit Shah)। সম্প্রতি কলকাতায় এলেও তিলোত্তমার মা-বাবার সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে যান তিনি।

RG Kar case junior doctors protest

এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার (RG Kar Case) বাবা বলেন, অমিত শাহ হয়তো সময় বের করতে পারেননি। গোটা দেশের দায়িত্ব রয়েছে। তবে পদ্ম শিবিরের তরফ থেকে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিলোত্তমার বাবা বলেন, ‘অমিত শাহর দেখা পেলে ভালো লাগতো, মনের জোর বাড়ত’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর