মা কালীর মূর্তি জড়িয়ে অঝোরে কান্না! কী হল তৃণমূল সাংসদ কল্যাণের? জোর শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদদের মধ্যে একজন তিনি। আইনজীবী হিসেবে আদালতে ঝাঁঝালো সওয়াল করা হোক বা সাংসদ হিসেবে লোকসভায় বক্তৃতা দেওয়া, দুই ভূমিকাতেই তুখোড়। এবার সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Kalyan Banerjee) একেবারে অন্য ‘ভাবে’ দেখা গেল। কালীপুজোর দিন মায়ের মূর্তি জড়িয়ে কেঁদে ফেললেন তিনি।

  • মা কালীকে জড়িয়ে অঝোরে কান্না কল্যাণের (Kalyan Banerjee)!

শ্রীরামপুরের সাংসদের আদি বাড়ি বাঁকুড়ার দোলতলায়। সেখানে নিজের হাতে কালীপুজো (Kali Puja) করেন কল্যাণ। পুজোর আয়োজন থেকে শুরু করে মায়ের আরতি, সবটাই নিজে করেন তিনি। এবার যেমন পুজোর সময়ই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন এই দুঁদে রাজনীতিক। চোখের জল বাঁধ মানল না! মায়ের মূর্তি জড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকেন এই আইনজীবী-সাংসদ।

ইতিমধ্যেই কল্যাণের (Kalyan Banerjee) বাড়ির কালীপুজোর ছবি সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মা কালীর মূর্তি জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন তৃণমূল সাংসদ। মায়ের কোলের কাছে কল্যাণের মাথা। দু’চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল।

আরও পড়ুনঃ দীপাবলির আবহেই লক্ষ্মীলাভ! রাজ্য সরকারি কর্মীদের ৪% DA বৃদ্ধি! বকেয়া নিয়েও বড় ঘোষণা সরকারের

উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে তৈরি সংসদীয় কমিটির পরিস্থিতি তেতে ওঠে। বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ কল্যাণ তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়ান বলে খবর। ভাঙা কাঁচে হাত কেটে যায় শ্রীরামপুরের সাংসদের।

Kalyan Banerjee

এদিন এই নিয়ে ফের একবার অভিজিৎকে তোপ দাগেন কল্যাণ। বলেন, ‘ও কোনও আইনজীবী ছিল নাকি? আইন-ফাইন জানতো? দু’জন বন্ধু ছিল বলে হাইকোর্টের বিচারপতি হয়েছিল। যদি ওর আইনের জ্ঞান থাকে, সুপ্রিম কোর্টে এসে ২০-২৫ মিনিট একটা মামলায় আর্গুমেন্ট করুক। কত আইনের জ্ঞান আছে দেখি না! কত বড় আইনজীবী ছিল? আইনের কতখানি জ্ঞান রয়েছে এবং কতখানি ওকালতি জানে দেখা যাবে। চ্যালেঞ্জ দেওয়া রইল। কবে আসবে আসুক’।

এখানেই না থেমে কল্যাণ (Kalyan Banerjee) আরও বলেন, ‘বেকার বসে বসে লোকের কাঠি না করে, আরও কেস করতে বলুন না। ওকে কাউন্ট করি না’। এরপর অতীতের কথা স্মরণ করাতে গিয়ে নিজেকে থামিয়ে নেন তৃণমূল সাংসদ। কথা শেষ করার আগে শুধু বলেন, ‘ও ছাড়ো! ও জুডিশিয়ারির কুলাঙ্গার ছিল। সবাই জানে’।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর