বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয়তার তালিকার শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এ রাজ্যের তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। আট থেকে আশি সকলের জন্যই কোনো না প্রকল্প আনা হয়েছে। তবে সমস্ত প্রকল্পের মধ্যে আলাদা মাত্রা পেয়েছে এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্পের আওতায় প্ৰতি মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পান মহিলারা। তবে উৎসবের আবহেই শোনা যাচ্ছে এবার নাকি বাড়তে পারে এই প্রকল্পের টাকা!
২০২১ সালে শুরুর সময় এই প্রকল্পে মাসিক পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন রাজ্যের মহিলারা। তারপর এর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় বেড়েছে ভাতার পরিমাণও। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ এবং সাধারণ সম্প্রদায় অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান।
৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই প্রকল্প তৃণমূলের ভোটব্যাংকেও বড়সড় সুবিধা করে দেয় বলে মত বিশেষজ্ঞমহলের। শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনে এই প্রকল্পের টাকা বেড়ে ১৫০০ পর্যন্ত হতে পারে। আগেই এই বিষয়ে ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও এখনও এই নিয়ে সরকার তরফে কোনো ঘোষণা হয়নি। ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। মনে করা হচ্ছে সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্পে ফের টাকা বাড়তে পারে।
রাজ্যের অধিকাংশ মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান। তবে এক্ষেত্রে আবেদনের জন্য বেশ কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। জানিয়ে রাখি, এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে আবেদনকারিণীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীর পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফ্রি ফর্ম নিয়ে তা ঠিকঠাক পূরণ করতে হবে। সাথে দিতে হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স, আধার কার্ড।
আরও পড়ুন: অফলাইন বন্ধ! এবার বড় সিদ্ধান্তের পথে রাজ্য, জানুয়ারি থেকেই নিয়মে কড়াকড়ি
যদি কেউ তপশিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সেই সার্টিফিকেট দিতে হবে। তার সাথে অবশ্যই যিনি আবেদন করছেন তার এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। আবেদনকারিণী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং কোনও সরকারি সংস্থা বা চাকরি থেকে মাসমাইনে বা পেনশন পান না বলে একটি ঘোষণাপত্র দিতে হবে। সাথেই তার দেওয়া সমস্ত তথ্য সঠিক বলে জানাতে হবে। সরকারি আধিকারিকরা সব তথ্য যাচাই করে অনুমোদিত হলে প্রকল্পের টাকা সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে।