কমল দত্ত,নদিয়াঃ সৌম্য দাস বাড়ি নদিয়ার পায়রাডাংগা প্রিতীনগর এলাকায়।বাবা দুর্জয় শংকর দাস।সৌম্য তার স্কুল জীবনে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করবার পর ডিপ্লোমা করেন ইঞ্জিনিয়ারিং এ।ছোট বেলা থেকেই শরীর চর্চার মধ্যে তিল তিল করে বড়ি বিল্ডিং এ প্রবল আগ্রহ।বর্তমানে সে একজন সফল ট্রেনার।জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সোনা জয়ী হয়েছেন।গত ২২ শে জুন বিশ্ব খেতাব জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন সে দক্ষিন কোরিয়াতে।তার এই সাফল্যে তার কোচ অজয় সরকারের প্রচেস্টা এবং বাবা মায়ের অনুপ্রেরনা ছিল একান্ত। সকলকে পিছিনে ফেলে বিশ্বশ্রী খেতাব জিতে নিয়ে আসল আমাদের এই বংগসন্তান।ওয়াল্ড ফিটনেস ফেডারেশন আয়োজিত মিস্টার ইউনিভার্স প্রতিজোগিতায় জয়ী হলেন নদিয়া তথা সারা বিশ্ব দরবারে সৌম্য দাস।
ছুয়ে ফেললেন কুস্তিবীর মনোহর আইচ ও মনোতোষ রায়কে।১৯৫১ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্বশ্রী খেতাব জেতেন মনোহর আইচ।এরপর বাংলায় দীর্ঘ কয়েক বছর পর ২০১৯ সালে ২২ শে জুন দক্ষিন কোরিয়ায় বিশ্ব জয় করে বাংলাকে ফের গৌরবের জায়গায় এনে দিলেন সৌম্য।দক্ষিন কোরিয়ার সিওলে অনুসঠিত হয়েছিল মিস্টার ইউনিভার্স প্রতিজোগিতা।গত ২২ শে জুন ফাইনালে সেখানে সেরার সেরা শিরোপা ছিনিয়ে নিলো সে।
তার শরীরের কাছে হার মানতে হয়েছিল বিশ্বের তাবড় তাবড় ব্যায়ামবীরদের।মাত্র ১৬ বছর বয়সে সে জেলার শিরোপা পান।তারপর থেকে একের পর এক বিশ্বমঞ্চের শিখরে খেতাব জেতার লড়ায়ে।আজ সারা ভারত তথা বিশ্ব এই সন্মানকে গর্বিত করেছে আমাদের বাংলার এই ব্য্যায়ামবীর।বিশ্ব জয় করে বুধবার বিমানে ঘরে ফিরতেই বিমানবন্দরে তাকে ঘিরে আনন্দ মাতোয়ারা আত্মীয় পরিজন থেকে বন্ধু অনুরাগী সকলে।বিমানবন্দরে ছিল তাকে ঘিরে বাধভাংগা উচ্ছ্বাস।আপাতত কলকাতায় বিশ্রামে আছেন সে।বাবা মা পাড়া প্রতিবেশী সকলেই উছ্বসিত এই বংগ সন্তানকে নিয়ে।