বাংলা হান্ট ডেস্ক : মা হয়ে রীতিমতো ষড়যন্ত্র করে খুন (Murder) করলেন নিজের ছেলে-বৌমাকে। তবে এই ঘটনার কাহিনী হার মানাবে যে কোন সিনেমার গল্পকেও। বিয়ে পরেও অন্য নারী-পুরুষের সাথে অবাধ যৌন সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর। শোনেনি মায়ের বারণ-ও। শেষপর্যন্ত এসবের হাত থেকে রেহাই পেতেই চরম সিদ্ধান্ত নেন মহিলা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের করৌলি জেলায়।
ছেলে বৌমাকে ষড়যন্ত্র করে খুন (Murder) করলেন মা
তাঁর ভয় ছিল ছেলে-বৌমার এই সব কুকীর্তির কথা পাড়ায় জানাজানি হয়ে গেলে লোকসমাজে অপমানের শেষ থাকবে না। অভিযুক্ত ললিতা দেবীর আশঙ্কা ছিল, গ্রামের লোক যদি বিষয়টি জানতে পারে তাহলে তাঁদের গ্রামছাড়া করা হবে। সূত্রের খবর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই দেখাশোনা বিয়ে হয়েছিল ২২ বছরের বিকাশ ও ১৮ বছরের দীক্ষার।
মৃতের মায়ের বয়ান অনুযায়ী বিয়ের পরেই অন্য নারী-পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তার ছেলে বৌমা। অন্য নারী পুরুষের সাথে তাঁদের দুজনেরই নাকি অগাধ যৌন সম্পর্ক ছিল। বাড়িতেই অন্য নারী-পুরুষের সাথে দিনের পর দিন চলতো অবাধ যৌনতা। একাধিকবার ধরাও পরে ছিলেন তারা। সে সময় ছেলে-বৌমা দুজনকেই বারবার সতর্ক করেছিলেন মা ললিতা।
কিন্তু তারা কেউই মায়ের কথা শোনেননি। উল্টে বাড়িতে বাইরের লোক ডেকে এনে দিনের পর দিন এই নোংরামি চলতে থাকায় শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন মহিলা। নিজের ভাইয়ের সাথে ষড়যন্ত্র করে রীতিমতো ছক কষে এই খুন করেছেন তিনি। এই কাজের জন্য চমন খান নামে এক ড্রাইভারকেও ভাড়া করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে খুন! অপরাধীকে চরম সাজা আদালতের, তোলপাড় রাজ্য
পুলিশ দাবি অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার রাতে এক মন্দিরে পুজো দিয়ে ফেরার সময় বিকাস ও দীক্ষা দুজনকেই গুলি করে হত্যা করে মৃতের মামা ও ড্রাইভার। জানা গিয়েছে আগে থেকে পরিকল্পনা করেই তাঁদের ওই মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশের জেরার মুখে এই খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন মৃতের মা ললিতা।
পুলিশ সূত্রে খবর এই খুনের জন্য একটি পিস্তল ও একটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনেছিল মৃতের মামা। ড্রাইভার ভাড়া করার পাশাপাশি খুনের উপযুক্ত জায়গা খুঁজতে দীর্ঘ দিন রেইকিও চালানো হয়। দিন দশেক আগেও একবার তাঁদের গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করিয়ে খুনের ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু সেবার তা ব্যর্থ হয়। এর পর ওই দম্পতিকে রাজস্থানের কৈলাদেবী মন্দিরে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে মন্দির থেকে ফেরার পথে মন্সলপুরের ভোজপুর গ্রামের কাছে গুলি করে খুন করা হয়।