বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) মধ্যে ফাটল ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে সোচ্চার জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) সংগঠন আগেই দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে। গত মাসেই, ২৬ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করেছে জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) নতুন সংগঠন ‘জুনিয়র ডক্টর্স’ অ্যাসোসিশন।
টাকা তুলে দেওয়া হোক বাবা -মা’কে জেডিএফ-কে ‘চ্যালেঞ্জ’ জেডিএ-র (Junior Doctors)
যদিও শুরু থেকেই তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে এই প্রতিবাদী আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দ এবং দেবাশীষ হালদারের মত ফ্রন্ট জেডিএফ সংগঠনের জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁদের বিরুদ্ধেই তহবিলের নামে টাকা তোলার অভিযোগ এনে নতুন ফ্রন্ট খুলেছেন শ্রীশ চক্রবর্তী এবং প্রণয় মাইতিরা। ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জুনিয়র ডক্টর্স’ ফ্রন্টকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দাবি করা হয়েছে ওই তহবিলের চার কোটি টাকা তুলে দিতে হবে নির্যাতিতার পরিবারকে।
তহবিলের টাকা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ওই টাকা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের তত্ত্বাবধানেই রাখার দাবি জানানো হয়েছে। এপ্রসঙ্গে জে়ডিএ-এর অন্যতম আহ্বায়ক শ্রীশ চক্রবর্তী এপ্রসঙ্গে শুক্রবারই একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘জে়ডিএফ অভয়া তহবিলের নামে যে চার কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা তুলেছে, তা অভয়ার বাবা-মায়ের হেফাজতে রাখা হোক। আইনি কাজে যে খরচ লাগবে কিংবা সমাজসেবামূলক কোনও কাজ তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েই হোক।’
তার এই বক্তব্যের পাল্টা জবাবে জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম নেত্রী রুমালিকা কুমার সাফ জানিয়েছেন, ‘মানুষ আমাদের ভরসা করে অর্থ দিয়েছেন। তাতে স্বচ্ছতা রাখা আমাদের কর্তব্য। এ বিষয়ে কী করণীয় তা আমরাই ঠিক করব। এখানে অন্য কারও কথা শোনার প্রয়োজন নেই।’
আরও পড়ুন : অক্টোবর মাসে গুগলে ‘মোস্ট সার্চ’ টপিক কী? অবাক করে দেবে উত্তর
জেডিএফ-এর তরফ থেকে জেডিএ-র দাবি উড়িয়ে দেওয়া হলেও সূত্রের খবর অভয়া তহবিলের স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই জেডিএফ-এর তরফ থেকে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের এই দাবির কথা শুনে নির্যাতিতার মা-বাবা কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।
জুনিয়র ডাক্তারদের এই অ্যাসোসিয়েশনের শুরুর দিন থেকে তাঁরা সন্দিহান। এই নতুন সংগঠন নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। শ্রীশ চক্রবর্তীদের উদ্দেশে তিলোত্তমার মায়ের আক্ষেপসূচক মন্তব্য ছিল, ‘যারা থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত, তারাই আবার আলাদা সংগঠন করে বিচার চাইছে!’ প্রসঙ্গত আগামী ৯ নভেম্বর আরজি কর-কাণ্ডের ৯০ দিন সম্পন্ন হতে চলেছে।
তাই শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ৯ নভেম্বর একগুচ্ছ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন দেবাশিসরা। জে়ডিএফের তরফে ৯ তারিখ ‘দ্রোহের গ্যালারি’, রক্তদান শিবির, নাগরিক মিছিলের মতো একাধিক কর্মসূচির আহ্বান জানানো হয়েছে।