বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে চর্চার শেষ নেই। বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) চালু করা প্রকল্পগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের আওতায় প্ৰতি মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পান মহিলারা। মূলত রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশেই এই প্রকল্প। আর এবার এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শোরগোল।
সম্প্রতি, দলের বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চ থেকে ২০২৬ সালের বিধানসভায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাড়িয়ে দু’হাজার টাকা করার ঘোষণা করে দিলেন তৃণমূলেরই এক প্রধান। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দুর্গাপুজোর পর রাজ্যজুড়ে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তেমনই পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে সাউৎখণ্ড অঞ্চল তৃণমূলের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান হয়েছে সম্প্রতি। পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন সেই বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এক হাজার টাকা বেড়ে দু’হাজার টাকা হবে বলে ঘোষণা করলেন তৃণমূলের প্রধান বিজনবন্ধু বাগ।
তিনি বলেন, ‘আরজি কর কাণ্ডে আমরাও সুবিচার চাইছি। আমাদের নেত্রী মানুষের এই আন্দোলনকে সম্মান করেছেন, সমর্থন করছেন। মহিলাদের সামনে রেখে কিছু রাজনৈতিক দল আমাদের দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করে বেড়াচ্ছে। এরপর ২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এক হাজার টাকা বেড়ে দুহাজার করা হবে।”
রাজ্য সরকারের কোনও আমলা বা মন্ত্রী না হয়ে কিভাবে তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা বাড়ানোর ঘোষণা করলেন এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রধান যখন ভাতার টাকা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছিলেন সেই সময় মঞ্চে ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি পীযূষ পন্ডা, জেলা সভাধিপতি উত্তম বারিক তৃণমূলের একাধিক নেতা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে শুরুর সময় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে মাসিক পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন রাজ্যের মহিলারা। তারপর এর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকায় বেড়েছে ভাতার পরিমাণও। বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ এবং সাধারণ সম্প্রদায় অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পান।
আরও পড়ুন: ‘আপনাকে দিদি বলে ডাকতে পারব না’, ৯ আগস্ট যা বলেছিলেন সিভিক সঞ্জয়! আর জি কর কাণ্ডে বিরাট মোড়
৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এই প্রকল্প তৃণমূলের ভোটব্যাংকেও বড়সড় সুবিধা করে দেয় বলে মত বিশেষজ্ঞমহলের। শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনে এই প্রকল্পের টাকা বেড়ে ১৫০০ পর্যন্ত হতে পারে। আগেই এই বিষয়ে ইঙ্গিত মিলেছিল। যদিও এখনও এই নিয়ে সরকার তরফে কোনো ঘোষণা হয়নি। ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে। মনে করা হচ্ছে সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্পে ফের টাকা বাড়তে পারে।