বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত প্রায় দু’বছর বীরভূম থেকে দূরে ছিলেন। দুর্গাপুজোর আগে গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়ে ঘরে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এরপর মাসখানেক কাটতে না কাটতেই বিপত্তি! দীপাবলির আবহে তৃণমূলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে পিটিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে খবর।
অনুব্রত (Anubrata Mondal) ফিরতেই অশান্ত বীরভূম?
জানা যাচ্ছে, প্রয়াত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নাম সমীক ধান্দার, বয়স ৪৬। কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের অধীন পারুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন তিনি। বাড়িও ওই গ্রামে। গত শনিবার রাতে পঞ্চায়েত মিটিংয়ের জন্য সমীককে ডেকে পাঠানো হয় বলে খবর। সেখান থেকে ফেরার পথেই তাঁর ওপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী।
উত্তরনারায়ণপুর অঞ্চলে সমীকের ওপর দুষ্কৃতীদল হামলা চালায় বলে জানা যাচ্ছে। জখম অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তাঁরাই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যের এই মহিলারা পাবেন না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা! কি না করলে টাকা দেবে না রাজ্য সরকার?
সমীকের ওপর হামলার এই ঘটনায় অভিযোগের তীর কেষ্ট ‘ঘনিষ্ঠ’ স্থানীয় উপপ্রধান তথা অঞ্চল সভাপতি মামুনের বাহিনীর দিকে। মামুনের লোকজনই পারুলডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) ওই সদস্যের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাতেই সমীকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি অনেকের।
এদিকে অনুব্রত (Anubrata Mondal) ফেরার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছে বীরভূমের রাজনীতি। কেষ্ট-কাজল ‘সমীকরণ’ নিয়েও জোর চর্চা চলছে। তার মধ্যেই বীরভূমে এই খুনের ঘটনা ঘটায় কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। তাহলে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার হতে হল সমীককে? দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বীরভূম জেলা তৃণমূলের অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলে খবর।