বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্য জুড়ে সাধারণ মানুষের জন্য চালু রয়েছে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প। বাংলার মানুষের জন্য হামেশাই নিত্য-নতুন প্রকল্প নিয়ে আসে রাজ্য সরকার (Nabanna)। জনস্বার্থে তৈরী এই সমস্ত জনমোহিনী প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন বাংলার নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই। ছেলেমেয়েদের স্কুলের পড়াশোনা থেকে শুরু করে তাদের হাত খরচ কিংবা বিনামূল্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা সহ একাধিক প্রকল্প চালু রয়েছে রাজ্য সরকারের (Nabanna)।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজে ক্ষুব্ধ নবান্ন (Nabanna)
বাড়ির গৃহবধূদের জন্যও চালু রয়েছে রাজ্য সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মী ভান্ডার। যা রীতিমতো সুপারহিট। পাশাপাশি রাজ্যের মহিলাদের স্বনির্ভর করতেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজের মাধ্যমে মহিলাদের কর্মসংস্থানের বিরাট সুযোগ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে এবার এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজের লক্ষ্যমাত্রা দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ নবান্নের (Nabanna) শীর্ষমহল।
প্রসঙ্গত দেখতে দেখতে চলতি অর্থবর্ষের প্রায় সাত মাস অতিক্রান্ত। এই সময়ের মধ্যে নতুন স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির কাজ যতটা এগনোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা এবার বড় ধাক্কা খেয়েছে। সূত্রের খবর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজের লক্ষ্যমাত্রা যতটা ছিল সেই তুলনায় মাত্র সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ২৩.৫১ শতাংশ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্যই স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্মসহ তৈরি সহ নানা ধরনের কাজে যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিযেন।
সেই কাজেই এবার রাজ্যের দশটি জেলার পাশে জুড়েছে ‘পুয়োর পারফরমেন্স’-এর তকমা। তার জন্যই ওই দশটি জেলাকে এবার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে দ্রুত কাজের গতি বাড়িয়ে বাকি ৭৬ ৪৯ শতাংশ কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করে দিতে হবে। রাজ্যের রিপোর্ট অনুযায়ী স্টেট রুরাল লাইভ রিপোর্ট মিশন প্রকল্পে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মোট ২৩ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : প্রকাশ্যে যুবতীকে নিজের গোপনাঙ্গ দেখিয়ে বিপাকে, পদ খোয়ালেন কংগ্রেস নেতা
কিন্তু দেখা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৫ হাজার ২৬২টি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে কোচবিহার (৭১.০৭ শতাংশ), হাওড়া (৫৪.৫৩ শতাংশ), উত্তর দিনাজপুর (৫১.৮৪ শতাংশ), পশ্চিম মেদিনীপুর (৫১.৮৪ শতাংশ) ও পুর্ব মেদিনীপুর (৫০.৬৮ শতাংশ) জেলায় কাজের গতি দেখে বেশ উদ্বিগ্ন রাজ্য। এছাড়া জলপাইগুড়ি (৯.৩৯ শতাংশ), হুগলি (১১.৩৭ শতাংশ), মুর্শিদাবাদ (১৩.৫৮ শতাংশ), বাঁকুড়া (১৭.১৩ শতাংশ) সহ ১০টি জেলার কাজের গতি এতটাই কম যে সার্বিকভাবে তার প্রভাব পড়ছে গোটা রাজ্যের ওপর।
তবে রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির কাজ এগোলে ক্রেডিট লিঙ্কেজের কাজ আরও ভালো হতে পারত। যদিও তিনি নিশ্চিত বছরের শেষে টার্গেট পূরণ হবেই। গোষ্ঠীগুলির হাতে অর্থ পৌঁছতে যাতে দেরি না হয়, তার জন্য নাকি ইতিমধ্যেই ‘পুওর পারফরম্যান্স’-এর তালিকায় থাকা ১০ জেলার আধিকারিকদের সাথে বৈঠক-ও করা হয়েছে।