বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে নয়া মোড়? গত ৯ অগস্ট আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape and Murder Case) ঘটনা ঘটে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়। এবারে ঘটনার প্রায় তিন মাস পর বিস্ফোরক সেই মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। এদিন শিয়ালদা কোর্ট চত্বরে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটালেন সঞ্জয়। প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় জানলা থেকে চিৎকার করে সঞ্জয় বললেন, সে নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
সোমবার বাংলাহান্টের ক্যামেরার সামনে চিৎকার করে সঞ্জয় বলেন, ‘এতদিন চুপচাপ ছিলাম। এতদিন কোনো কথা বলিনি। আমি রেপ বা খুন করিনি। আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি সেখানেও। আমাকে নিচে নামিয়ে দিল। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমাকে সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে যে না তুমি কিছু বলবে না। আমাদের ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখিয়ে এসব করেছে। সঞ্জয় আরও বলেন, আমি নির্দোষ আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ‘
গত ১৪ অগস্ট আর জি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে হেফাজতে নেয় সিবিআই। ২৩ অগাস্ট আর জি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়কে জেল হেফাজতে পাঠায় আদালত। তারপর থেকে জেলেই রয়েছে সঞ্জয়। এতদিন কার্যত মুখে কুলুপ এঁটে ছিল সে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন আগে জেলে নিজের কক্ষেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সঞ্জয়। সেখানে থাকা যায়না বলে দাবি করে সে। আর এদিন নীরবতা ভাঙল সঞ্জয়। কেন তার মুখে সরকারের নাম? নিজের ডিপার্টমেন্টের কে তাকে ফাঁসাতে চাইছে? কার দিকে আঙ্গুল তুলছে সে? এদিনের দাবির পর উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
ওদিকে আরজি কর কাণ্ডে সোমবার শিয়ালদা আদালতের রুদ্ধদ্বার কক্ষে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের ধারা প্রয়োগ করেছে সিবিআই। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রটের এজলাসে রোজ শুনানি হবে বলে কোর্ট সূত্রে খবর।