বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমেরিকায় (United States of America) আগামীকাল অর্থাৎ ৫ই নভেম্বর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এবারের ২ প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও কমলা হ্যারিসের (Kamala Harris) মধ্যে থেকে মার্কিনীরা কাকে বেছে নেন তা সময়ই বলবে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা কমলা হ্যারিস যেই ক্ষমতায় আসুন না কেন, কতটা বদলাবে আমেরিকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি?
রাত পোহালে আমেরিকায় (United States of America) নির্বাচন
এই উত্তর খুঁজতেই এখন মাথার চুল ছিঁড়ছেন সাধারণ মার্কিনীরা। অনেকেই তাই বলছেন, নির্বাচনের ফলে শুধু রং বদলাবে, কিন্তু রাষ্ট্র প্রধান একই থেকে যাবেন। আদতে মার্কিনীদের বেছে নিতে হবে মন্দের ভালোকে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে (United States of America) ক্রমাগত বেড়ে চলেছে বেকারত্বের হার। তার সাথে রয়েছে বন্দুকবাজের হামলা। আজ পর্যন্ত কোনও রাষ্ট্রপ্রধানই সেদেশে বন্দুক সংক্রান্ত আইনের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেনি।
মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ সেদেশে এতটাই যে অনেক মার্কিনী বাজার করছেন নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে অর্ধেক। তাছাড়াও আমেরিকার সর্বত্র এখনও রয়েছে শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গদের প্রকট বৈষম্য। রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সামলেছেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতির পদ। অন্যদিকে, ডেমোক্রেটিক পার্টির কমলা দেবী হ্যারিস প্রথম অশ্বেতাঙ্গ মহিলা হিসেবে ২০১৯ সালে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।
আরোও পড়ুন : বন্ধ হওয়ার গুঞ্জন! দিওয়ালির আবহে বেঙ্গল টপার এই মেগা! নাম দেখলে মাথা ঘুরে যাবে
বিজনেস, ফিনান্স নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর বাবার ব্যবসায় যোগদান করেন ট্রাম্প। তারপর নিজের চেষ্টায় তৈরি করেন ট্রাম্প অর্গানাইজেশন, ট্রাম্প টাওয়ার। ১৯৯০ সালে ব্যবসায় মন্দা আসলেও ধীরে ধীরে ফের ঘুরে দাঁড়ান। অপরদিকে কমলা ক্যালিফোর্নিয়া বার থেকে শুরু করেন নিজের ক্যারিয়ার। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলও হন তিনি।
আমেরিকার (United States of America) সাধারণ মানুষও জানেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে যেই নিযুক্ত হন না কেন, তারা ব্যস্ত থাকবেন নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে। তবে আমেরিকার (USA) গরিমা ফিরিয়ে দিতে ট্রাম্প বা কমলা কতটা পারবেন তা নিয়ে সন্ধিহান সব পক্ষই। আসলে, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মার্কিন মুলক ক্রমশই যুদ্ধ বিলাসী হয়ে উঠছে।
আরোও পড়ুন : কোরবা’র নাম শুনেছেন? অ্যাডভেঞ্চারের সাথে শিল্প মিশে যায় এখানেই! বিস্তারিত জানুন এক ক্লিকেই
যুদ্ধ বিলাসী আমেরিকা আগামী দিনে রাষ্ট্র প্রধান নয়, আদতে চাইছে রাষ্ট্র সেবককে। যে সেবক মুক্তি দিতে পারবে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, সামাজিক বৈষম্য থেকে। সবমিলিয়ে আমেরিকার রাজনীতি যেন আক্ষরিক অর্থেই হয়ে উঠেছে, “যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবণ!” মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক গরিমা যেন পূর্ণিমার চাঁদ দেখে ঝলসানো রুটির কথাই মনে করিয়ে দেয়।