বাংলা হান্ট ডেস্ক : নভেম্বর মাস পড়তেই বেল ছোট হতে শুরু করেছে বেলা অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে এবার শীতের আগমনের সময় হয়ে গিয়েছে। শীতকাল মানেই কলকাতা কিংবা তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণ পিপাসু মানুষজন। বিগত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষজনের কাছে ঘুরে বেড়ানোর জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইকো পার্ক (Eco Park)।
ইকো পার্কার (Eco Park) মূল আকর্ষণ এখন সোলার ডোম
আমজনতার কাছে ইকো পার্কের (Eco Park) আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলতে প্রতিনিয়ত ঢেলে সাজানো হচ্ছে এই পর্যটনস্থলকে। এবার এই তালিকায় ইকো পার্কের (Eco Park) নতুন সংযোজন সোলার ডোম বা সৌর গম্বুজ। প্রায় ৭-৮ তলা বাড়ি সমান উঁচু এই গম্বুজের চারদিক বইছে জলের ধারা। আর মাঝখানে রয়েছে বিশাল আকৃতির গম্বুজ।
কর্তৃপক্ষ দেখতে আকর্ষণীয় এই গম্বুজের নামকরণ করেছে ‘সোলার ডোম’। এবার সাধারণ মানুষের জন্যও খুলে গিয়েছে এই সোলার ডোমের প্রবেশদ্বার। তাই আসন্ন শীতেই ইকো পার্কে (Eco Park) ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে এই সোলার ডোম। প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে নাজেহাল গোটা বিশ্ববাসী। সেইসাথে বিজ্ঞানীদের চিন্তা বাড়িয়ে গলতে শুরু করেছে হিমালয়ের বরফ।
আরও পড়ুন : ভোটের মুখে বড় চমক! কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বাম জামানার মন্ত্রী আব্দুস
তাই এই পরিস্থিতিতে বিকল্প শক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার এই সোলার ডোম খুলে দেওয়ার হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা হিডকোর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরেই সোলার ডোমের প্রবেশদ্বার উদ্বোধন হয়েছে। ইকো পার্কে ঘুরতে আসা পর্যটক থেকে ছাত্রছাত্রী প্রত্যেককেই এই বিকল্প শক্তিকে কাজে লাগানোর পাঠ দিতেই ২০১৯ সাল থেকে প্রায় ৬ বছর ধরে এই সৌর গম্বুজটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
লোহার কাঠামো, কাঁচ সোলার প্যানেল ইত্যাদি দিয়ে এই গম্বুজটি তৈরি করা হয়েছে। এই সোলার প্যানেল সৌরভ গম্বুজ ঘিরে রয়েছে প্রায় ২ হাজার সোলার প্যানেল। যা থেকে প্রতিদিন ১৮০ কিলোওয়াট এর মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। এই সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করেই সোলার ডোমের ভিতরে আলো,পাখা কম্পিউটার,লিফ্ট সহ পার্কের আলোও জ্বলবে। জানা যাচ্ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা, হিডকো ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায় সুইজারল্যান্ডের একটি নামজাদা সংস্থার পরামর্শ মেনে এই সৌর গম্বুজটি তৈরি হয়েছে।