বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২৭ অক্টোবর বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই কর্মসূচির সূচনা করার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। সেই সংক্রান্ত এক সভাতেই ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে পদ্ম নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশে দায়ের হয়েছে এফআইআর।
জোর বিপাকে মিঠুন (Mithun Chakraborty)?
লালবাজার সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত সোমবার মিঠুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। বৌবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরের এক সভায় মিঠুনের বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৌবাজার থানার সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর নম্বর ২৫৫। নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযোগকারীর নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। তা গোপন রাখা হয়েছে। এদিকে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিঠুনের (Mithun Chakraborty) বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনও ঠিক করা হয়নি। লালবাজার সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে ভর্তি কাছের মানুষ! আবেগপ্রবণ সায়নী লিখলেন, তোমার নামেই যত…
উল্লেখ্য, বিজেপির (BJP) সদস্য সংগ্রহ অভিযান সংক্রান্ত এক সভায় উপস্থিত ছিলেন মিঠুন। সেখানে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের একটি মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় সেই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেতা।
হুমায়ুনের সেই বক্তব্যের রেশ টেনেই মিঠুন সম্প্রতি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনেই আমি বলছি, যা করতে হয় সব করব। এই সব কিছুর মধ্যে অনেক মানে লুকিয়ে আছে। আমাদের এখানকার একজন নেতা বলেন, ৭০% মুসলিম, ৩০% হিন্দু। কেটে ভাগীরথীতে ভাসিয়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলবেন ভাবলাম। এই ধরণের কথা না বলতে বলবেন। তবে কিছু হল না। আমি মুখ্যমন্ত্রী না। তবে বলে রাখি, ভাগীরথী নদী আমাদের মা। সেখানে কেটে ভাসিয়ে দেব না। তবে তোমার মাটিতেই তোমায় পুঁতে দেব’।
এখানেই না থেমে মিঠুন (Mithun Chakraborty) আরও বলেন, ‘বারবার বলছি, যা করতে হয় সব! বুক চিতিয়ে বলবে, মার! কত গুলি রয়েছে দেখি! এই রকম সদস্য চাই। যারা টাকা নিয়ে কাজ করেন, এমন কর্মী চাই না। এই রকম করলে আপনারা তৃণমূলে চলে যান। আমি বলে যাচ্ছি, যদি আপনারা আমাদের বাগানের একটা ফল ছেঁড়েন, তাহলে আমরা চারটে ছিঁড়ব। এটা সত্যি! নাহলে জয়ী হতে পারব না’। প্রবীণ নেতার সংযোজন, ‘অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী একথা বলছে না। ১৯৬৮ সালের ২৮ বছর বয়সি মিঠুন বলছে। রাজনীতি করেছি। রক্তের রাজনীতি করেছি। কে কোথা থেকে কী করবে, সব জানি। আপনাদের পাশে চাই। সাহস চাই। বুক চিতিয়ে এগিয়ে আসতে হবে’। বিজেপি নেতার এই মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক! এর জেরেই দায়ের হয়েছে এফআইআর। লালবাজার সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।