বাংলা হান্ট ডেস্ক :আদালতে শুনানির সরাসরি সম্প্রচারের ভিডিও নিয়ে এবার কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (High Court)। সম্প্রতি একটি মামলার রায়দানের সময় মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টের (High Court) তরফে জানানো হয়েছে আদালতে বিভিন্ন মামলার শুনানির সরাসরি সম্প্রচারের ভিডিও নিয়ে এবার থেকে আর কোনোরকম কাটছাঁট করা যাবে না। সোশ্যাল মিডিয়া হোক কিংবা টেলিভিশন আদালতের শুনানির লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে জারি হল কড়া নির্দেশিকা।
লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হাই কোর্টের (High Court)
সোমবার আদালতের শুনানির সরাসরি সম্প্রচার সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানির সময় এমনই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত (High Court)। অনেক সময় দেখা যায় আদালতের কক্ষের মধ্যেকার ঘটনাবলির সরাসরি সম্প্রচার করা হয়ে থাকে। মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্ট ২০২১ সালে এই শুনানি সংক্রান্ত একটি নির্দিষ্ট বিধিও তৈরি করেছিল। সেই নিয়ম অনুযায়ী সরাসরি সম্প্রচারের ভিডিওর স্বত্ব হাই কোর্টেরই। তাই আদালতের শুনানির সরাসরি সম্প্রচারের ভিডিও ব্যবহার করা, শেয়ার করা, অনুবাদ করা কিংবা যে কোনও প্ল্যাটফর্মে আপলোড করাও নিষিদ্ধ।
অভিযোগ আদালতের স্বত্ত থাকা সত্ত্বেও এই ভিডিও অনেকেই বিনা অনুমতিতে নানা ভাবে ব্যবহার করে চলেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে এই ভিডিও ব্যবহার করেই আর্থিক উপার্জন করছেন তারা। হাইকোর্টে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত এবং বিচারপতি বিবেক জৈনের বেঞ্চে।
এই মামলার শুনানিতেই আদালতের লাইভ স্ট্রিমিং-এর ভিডিও নিয়ে জারি করা হয়েছে কড়া নির্দেশিকা। মামলার শুনানিতে এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছেন এডিট করে সমাজমাধ্যমে ভিডিও আপলোড করা নিষিদ্ধ। আদালত জানিয়েছে, সরাসরি সম্প্রচারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা টেলিভিশনে ব্যবহার করতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। বিনা অনুমতিতে ভিডিও এডিট করা যাবে না।
আরও পড়ুন : হিরের ব্যবসার আড়ালে আবাধ যৌনতা! চরম মুহূর্তে হিরে ব্যবসায়ীর সাথে যা ঘটল…শিউরে উঠবেন
নির্দেশনামায় আদালত জানিয়েছে, ‘বিধি থাকা সত্ত্বেও সরাসরি সম্প্রচারের ভিডিয়োর ভুল ব্যবহার করা হচ্ছে। সমাজমাধ্যমে ওই ভিডিয়ো কেটে, শেয়ার করে, এডিট করে মিম এবং রিল ভিডিয়ো তৈরি করে বিচারব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে।’ এই ঘটনায় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছ থেকেও জবাব চেয়েছে আদালত। একইসাথে মেটা, ইউটিউব, এক্সের মতো প্ল্যাটফর্মগুলিকেও চার সপ্তাহের মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মামলাকারী জানিয়েছেন আদালতের সরাসরি সম্প্রচারের ভিডিও ব্যবহার করে এতদিন যে যত টাকা রোজগার করেছেন, তা ফেরত নেওয়া এবং সমাজমাধ্যম থেকে ওই ভিডিয়োগুলি মুছে দেওয়া উচিত। তবে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনো নির্দেশ মেলেনি।