ইন্দ্রানী সেন,বাঁকুড়া: আবারও বাঁকুড়ায় ঘর ভাঙল শাসক দলের। ঘাস ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন ওন্দার কাঁটাবনী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান শিবাণী হেমব্রম ও উপপ্রধান গুরুদাস চঁন্দ সহ ছয় জন পঞ্চায়েত সদস্য। সীমা লোহার শিবানী রায়, রুমা মণ্ডল ও মথুরা নাথ পাল।এরা প্রত্যেকেই শুক্রবার রামসাগর অঞ্চল বিজেপি কার্যালয়ে এসে বিষ্ণুপুর জেলা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমরনাথ শাখার হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর শাসক দলের বিধায়ক ও দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অরুপ খাঁ এর ‘খাস তালুক’ হিসেবে পরিচিও ওন্দা ব্লক এলাকায় একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত ছেড়ে বিজেপির হাতে আসতে শুরু করেছে। এর আগে এই এলাকার রতনপুর, নাকাইজুড়ি, চুড়ামনিপুরের পর এবার সেই পথে হাঁটলেন কাঁটাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ ছয় সদস্য। এই ঘটনার পর ওন্দা ব্লক এলাকায় তৃণমূল শিবিরের অনেকটাই শক্তিক্ষয় হলো বলে অনেকে মনে করছেন। যদিও এবিষয়ে শাসক গোষ্ঠীর তরফে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে নারাজ।
বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অমরনাথ শাখা বলেন,”কাঁটাবনি গ্রাম পঞ্চায়েত এবার থেকে বিজেপিই পরিচালনা করবে। নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এই পঞ্চায়েতকে উন্নয়নের নিরিখে শীর্ষে পৌঁছে দেবেন বলেও এদিন সদ্য বিজেপি শিবিরে যোগদান কারীরা দাবী করেন।
তৃণমূল ত্যাগী পঞ্চায়েত উপপ্রধান গুরুদাস চঁন্দ বলেন,” এলাকার উন্নয়নের কাজে গতি আনতেই তারা প্রত্যেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।” ন’জন সদস্যের কাঁটাবনী গ্রাম পঞ্চায়েতের ছয় সদস্যই তাদের দলে যোগ দেওয়ায় এবার তারাই এখানে ‘সংখ্যা গরিষ্ঠ বলে এদিন বিজেপি সূত্রে দাবী করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে তৃণমূলের একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তাই তাদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।