বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলেছে একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা। বিশেষ করে ঘিঞ্জি এলাকা-গুলোতেই আগুন লাগার ঘটনা কে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। এরই মধ্যে বুধবার পোস্তা বাজারে ব্যবসায়ীদের জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)
সেখানেই এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কথায় উঠে আসে বড় বাজারের কাঠের গুদামে আগুন লাগার ঘটনার কথা। গত ২৩ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটের মধ্যেই বড়বাজার থানার এজরা স্ট্রিটে টেরিটি বাজারের একটি কাঠের বক্সের গুদামে আগুন ধরে গিয়েছিল। সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পরপর বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে গিয়েছিল। ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে আনা হয়েছিল মোট বারোটি দমকলের ইঞ্জিন।
বুধবার এই অগ্নিকান্ডের প্রসঙ্গ টেনে এনেই ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের এখানে কেন এত ঘনঘন আগুন লাগে? বাজারে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রাখা জরুরি। মনে রাখবেন তা না হলে কেউ মারা গেলে পুলিশ আপনাদের ধরবে।’ এরপরেই ধমক দিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরপর বড় বাজারে আগুন লাগলে আগুন নেভাতে দেরি হলে দমকলকে দায়ী করবেন না যেন।’
আরও পড়ুন : চালু হচ্ছে নতুন বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প! তরুণ প্রজন্মের জন্য মোদি সরকারের দারুন উপহার
তারপরেই তিনি এদিন বলেন, ‘এত অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক কেন রেখেছেন আপনারা? দরজার সামনে, ভেতরে অনেকেই দাহ্য পদার্থ রাখেন। এতে তো নিজেদের জীবনও বিপন্ন হতে পারে। মনে রাখবেন, জীবনের চেয়ে আর কোনও কিছু বড় হতে পারে না।’ বড় বাজার এলাকায় বহু জীর্ণ বাড়ি রয়েছে। কলকাতা পুরসভা ওই বাড়িগুলিকে পরিতক্ত ঘোষণা করার পরেও বাসিন্দারা সেই বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন না।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আপনাদের আমরা আপনাদের বাড়ি দখল করবো না। আপনি এখন যে ভগ্ন পাঁচতলা বাড়িতে রয়েছেন সেখানেই দশতলা বাড়ি তৈরির পারমিশন পাবেন। এখনতো ফ্ল্যাটের কালচার। আপনার তো কোনো খরচ হবে না। দেখতেও ভালো লাগবে।
প্রসঙ্গত এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। এদিন তাঁর দায়িত্বও বাড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শহরের এই ঘিঞ্জি এলাকাগুলোতে আগুন লাগলে দমকলের বড় গাড়ি ঢুকতে পারে না। আবার দুর্যোগের সময় পরিত্যক্ত বাড়িগুলো ভেঙে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকে। মনোজকে বলব, পুলিশ -ফায়ার ব্রিগেড-পুরসভা-স্থানীয় বিধায়ক সকলকে নিয়ে বসে সমস্যার সমাধানগুলো কীভাবে করা যায়, সেটা দেখো।’