বাংলা হান্ট ডেস্ক : সামনেই রয়েছে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন। আগামী ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের মোট ২৮৮ টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট সম্পন্ন হবে।নির্বাচনের মুখে এবার মোট ৪০ জন দল বিরোধী বিদ্রোহী সদস্যদের বহিষ্কার করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার (BJP)। আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির (BJP) টিকিট না পেয়েই বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন এই ৪০ জন বিজেপি (BJP) সদস্য।কয়েক জন বিজেপি বা সহযোগী শিন্ডেসেনা, এনসিপি (অজিত)-র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন। আবার কয়েকজন প্রকাশ্যে বিরোধী জোটকে সমর্থনও করেছিলেন।
ভোটের মুখেই ৪০ জন বিদ্রোহীকে বহিষ্কার করল বিজেপি (BJP)
কয়েকজন বিজেপির বা সহযোগী সিন্ধু সেনা এনসিপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে পড়েছিলেন আর কেউ কেউ প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন বিরোধী জোটকে। দলের অন্দরে থেকে বিদ্রোহী সদস্যদের এই সমস্ত কার্যকলাপ বরদাস্ত করতে নারাজ বিজেপি। তাই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগে এমনই ৪০ জন বিদ্রোহীকে বহিষ্কার করেছে মোদি-অমিত শাহর দল।
বুধবার মহারাষ্ট্র থেকে বিজেপির সম্পাদক মুকুল কুলকার্নি বুধবার এক বিবৃতিতে এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মোট ২৭ টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৪০ জন নেতা নেত্রীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে চূড়ান্ত পদক্ষেপ। এই ৪০ জন বহিষ্কৃত বিদ্রোহীদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির কয়েকজন প্রভাবশালী নেতারাও।
আরও পড়ুন : ‘যার জন্য করি চুরি সেই বলে চোর’! মামলা হলেও শাস্তি নেই কেন? প্রশ্নের মুখে ইডি
তাঁদের মধ্যে অন্যতম জালনার অশোক পাঙ্গারকর, সাওয়ান্তওয়াড়ির বিশাল প্রভাকর পরব, জলগাঁও শহরের ময়ূর কাপসে, অমরাবতীর জগদীশ গুপ্ত এবং ধুলে গ্রামীণ বিধানসভা আসনের বিদ্রোহী প্রার্থী শ্রীকান্ত কারলের মতো ‘প্রভাবশালী’রা। প্রসঙ্গত এই প্রথম নয় বিগত এক দশকে একাধিকবার প্রতিটি নির্বাচনেই বিদ্রোহীদের র বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
প্রত্যেকবারই দেখা গিয়েছে এই পদক্ষেপে আদতে লাভ হয়েছে দলেরই। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল ২০২২ সালের হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে বিদ্রোহী নির্দলরা ভোট কাটায় হাফ ডজনেরও বেশি আসনে হেরে গিয়েছিল বিজেপি। সেবার পদ্মা শিবিরকে টেক্কা দিয়ে বিজয়ী করেছিল কংগ্রেস। আর এবার মহারাষ্ট্রের এই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মূল লড়াই হতে চলেছে বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে।