বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital) ডাক্তার দেখাতে গেলে অনেকসময়ই রেজিস্ট্রেশন ফিজ গুনতে হয়। কোনও হাসপাতালে সেই ফিজের মেয়াদ ৬ মাস, কোথাও আবার এক সপ্তাহ। সেই সময় পেরিয়ে গেলেই ফের দিতে হয় টাকা। এবার এই জিনিসটাই বন্ধ হতে চলেছে! রোগীদের থেকে রেজিস্ট্রেশন ফিজ নেওয়া নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বড় নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন।
রেজিস্ট্রেশন ফিজ নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে (Private Hospital) কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে?
জানা যাচ্ছে, ডাক্তার দেখানোর জন্য শেক্সপিয়ার সরণীর এক বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন দেবব্রত চক্রবর্তী নামের এক ব্যক্তি। সেখানে চিকিৎসকের ফিজ ছাড়াও রেজিস্ট্রেশন ফিজ (Registration Fees) বাবদ ২৫০ টাকা দিতে হয়েছিল তাঁকে। কেন এই অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে? এই প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের দ্বারস্থ হন তিনি।
জানা যাচ্ছে, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠকে বসে। সেখানে শেক্সপিয়ার সরণী এলাকার ওই বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospital) কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়। কেন রেজিস্ট্রেশন ফিজ নেওয়া হচ্ছে জানতে চাওয়ায় বলা হয়, ‘আমরা রোগীদের বেশ কিছু অতিরিক্ত পরিষেবা প্রদান করি। হাসপাতালে পরিষ্কার শৌচাগার রয়েছে। সেটা নিয়মিত সাফসাফাই করতে লোকের দরকার। এছাড়া রোগীর দরকারে ট্রলি, হুইল চেয়ার রাখা আছে। এছাড়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে টাকার দরকার। সেই কারণেই রোগীদের থেকে ২৫০ টাকা নেওয়া হয়’।
আরও পড়ুনঃ ফ্রি-তে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ! ইলেকট্রিক বিল নিয়ে চিন্তা শেষ! ধামাকা প্রকল্প কেন্দ্রের
সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়, রেজিস্ট্রেশন ফিজ বাবদ রোগীদের থেকে ২৫০ টাকা নেওয়া হয়, সেটার মেয়াদ ৬ মাস। এরপর ডাক্তার দেখাতে এলে ফের সেই টাকা দিতে হয়। এই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাসপাতাল যে কারণে রেজিস্ট্রেশন চার্জ নেওয়ার কথা বলছে, সেটা ঠিক নয়। এটার জন্য টাকা নেওয়া যায় না। হাসপাতালের তরফ থেকে যে নির্দিষ্ট মেয়াদের কথা বলা হচ্ছে সেটাও অমূলক।
এই বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের বক্তব্য, সব বেসরকারি হাসপাতাল রেজিস্ট্রেশন চার্জ নেয়। একবার সেটা নেওয়া যায়। কারণ প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital) রোগীর তথ্যভাণ্ডার মেইনটেইন করতে হয়। কোনও রোগী যখন প্রথমবার কোনও বেসরকারি হাসপাতালে দেখাতে আসেন তখন তাঁর নামে একটি ইউনিক পেশেন্ট আইডি তৈরি হয়। এরপর তিনি যতবার সেখানে আসবেন, এর মাধ্যমেই চিকিৎসা হয়। আইডি দিলেই সংশ্লিষ্ট রোগী কোন সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তা জানা যায়। কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা সব হিসেব করে দেখেছি, রেজিস্ট্রেশন ফিজ একবারই নেওয়া যায়। ছয় মাস বাদে বাদে নেওয়া যায় না’।