বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘এই সব কারণেই বাংলার ছেলেমেয়েরা বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।’ এক জনস্বার্থ মামলায় ভরা এজলাসে বসে ঠিক এই মন্তব্যই করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি। চিফ জাস্টিস টি এস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগও বন্ধ। কলেজেও দুর্নীতির এত অভিযোগ। এই সব কারণেই এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা বাধ্য হয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে।’
বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা প্রায় ৬০০ থেকে ৬৫০টি বিএড কলেজের অধিকাংশর পরিকাঠামোগত বিষয় নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, এই এত কলেজের মধ্যে অধিকাংশর ক্ষেত্রেই এনসিটিই (National Council for Teacher Education) গাইডলাইন অনুযায়ী যে পরিকাঠামো থাকা প্রয়োজন, সেসব কিছুই নেই। তার পরও কলেজ চলছে। কিভাবে কোনো উপযুক্ত পরিকাঠামোনা থাকা সত্ত্বেও ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি চলছে, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল।
অ্যাফিলিয়েশন (রিনিউ) নেই বলে এই সব কলেজের পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসতে পারছেন না। সেই অভিযোগ তুলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই সব পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ ছিল, বাবা সাহেব আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ওই সব কলেজগুলির অ্যাফিলিয়েশন বা অনুমোদন পুনর্নবীকরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতায় করা হয়নি। এর জেরে তারা সমস্যায় পড়েছেন। বিএড পরীক্ষায় বসতে পারছেন না। এই সমস্ত অভিযোগ তুলেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে মামলা উঠলে বিচারপতি বলেন, ‘eই বিষয়ে উপাচার্য কিছু জানেন না এটা হতে পারে না।’ ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি বলেন, ‘অবিলম্বে উপাচার্যকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত’। এরপরই রাজ্যের আইনজীবীর কাছে এই বিষয়ে রাজ্য কি পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: হাজার কোটি টাকার বকেয়া রাজ্যের! বিদ্যুতের ক্ষেত্রে এবারে প্রি-পেড মিটার বসানোর নির্দেশ
জবাব দিয়ে রাজ্যের আইনজীবী জানান, সম্পূর্ণ দুটো পক্ষে ভাগ হয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দু’পক্ষই একই কথা বলছে। কোনো এক পক্ষের দাবি অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, তারা বলছে কোনো পদক্ষেপই করা হচ্ছে না। অন্য পক্ষের আবার দাবি, তাদের কথা সঠিকভাবে শোনা হচ্ছে না।