বাংলাহান্ট ডেস্ক : জগদ্ধাত্রী পূজার (Jagadhatri) ঢাকের কাঠি প্রায় পড়ে গিয়েছে বলাই বাহুল্য। আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী। দেবী দুর্গার আরাধনা যেভাবে করা হয়, ঠিক একইভাবে নিয়ম উপাচার মেনে পুজিত হন দেবী জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri)। চতুর্ভুজা দেবী সিংহের উপর আসীন। সিংহের নিচে থাকে এক হস্তিমুণ্ড।
মা জগদ্ধাত্রীর (Jagadhatri) আবির্ভাব
জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri) অত্যন্ত জাঁকজমক ভাবে পালিত হয় মূলত এই রাজ্যের কৃষ্ণনগর এবং চন্দননগরে। যদিও রাজ্যের অনেক জায়গাতেই এখন দেবী জগদ্ধাত্রীরা আরাধনা করা হচ্ছে। হুগলির চন্দননগরে চার দিন ধরে দুর্গা পূজার মতো করেই পালিত হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। নদীয়ার কৃষ্ণনগর সহ বিভিন্ন জায়গায় একদিনে অর্থাৎ নবমী তিথিতেই জগদ্ধাত্রী পূজা হয়।
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে এই পুজো হয়। এবছর ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja) ষষ্ঠী। ৮ নভেম্বর ২০২৪ শুক্রবার জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী। ৯ নভেম্বর ২০২৪ শনিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী। ১০ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমী। ১১ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমী। ওইদিনই হয় দেবীর বিসর্জন।
আরোও পড়ুন : শীত আসছে, তার আগে ফের ঝেঁপে বৃষ্টি! দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার আগাম খবর
কিন্তু জানেন কি, দেবী জগদ্ধাত্রীর (Jagadhatri) সৃষ্টি কিভাবে? পুরান মতে, মহিষাসুর বধের পর হঠাৎ অহংকারী হয়ে উঠেছিলেন দেবতারা। দেবী দুর্গা যেহেতু দেবতাদের সম্মিলিত শক্তির প্রকাশ তাই মহিষাসুর বধে নিজেদের কৃতিত্ব দিতে ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা। ব্রহ্মার বরের সম্মান রক্ষার্থে প্রয়োজন ছিল নারীর। দেবতাদের সেই অহংকার চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিতে সৃষ্টি হয় দেবী জগদ্ধাত্রীর।
তাই দেবো তাদের শক্তি পরীক্ষা করতে দেবী জগদ্ধাত্রী একটি তৃণ খণ্ড ছুড়ে দেন দেবতাদের দিকে। কিন্তু সেই তৃণকে আটকাতে অসমর্থ্য হন ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু বা বরুণ দেব। তৎক্ষণাৎ সেখানে আবির্ভূতা হন দেবী জগদ্ধাত্রী। সামান্য তৃণখণ্ডকে যে দেবতারা সরাতে সক্ষম নন, কিভাবে তাঁরা মহিষাসুর বধ করবেন? তা জানতে চান তিনি। বুঝিয়ে দেন, তিনি নিজেই হলেন জগতের ধারিনী শক্তি দেবী জগদ্ধাত্রী।