সরাসরি তিলোত্তমার বাবাকে ফোন অমিত শাহ’র! কবে বৈঠক হচ্ছে তাঁদের?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের নির্মম ধর্ষণ-হত্যাকান্ডে তোলপাড় দেশ-রাজ্য-রাজনীতি। দেখতে দেখতে তিন মাস অতিক্রান্ত। জলের মতো কাটছে দিন। কিন্তু এখনও অধরা নির্যাতিতার বিচার। তবে হাল ছাড়তে নারাজ নির্যাতিতার বাবা মা। একই সাথে জোর কদমে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে। তিলোত্তমাকে সুবিচার পাইয়ে দিতেই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

নির্যাতিতার বাবাকে ফোন অমিত শাহ’র (Amit Shah)

এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন আরজিকর মামলা। দিনের পর দিন আদালতে যেভাবে এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন অভয়ার বাবা-মা। যদিও বিচার ব্যবস্থার প্রতি তাঁদের আস্থা রয়েছে। আস্থা আছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র (Amit Shah) প্রতিও।

মেয়ের নির্মম মৃত্যুর পর এই কয়েক মাসে চোখের জল শুকিয়ে গিয়েছে তাঁদের। মেয়েকে বিচার পাইয়ে দেওয়াই এখন তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। তাই মনকে শক্ত করেই এখন লড়াই করতে প্রস্তুত অভয়ার বাবা-মা। মেয়ের মৃত্যুর পর তাঁদের যে মানসিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে সে কথা তুলে ধরেই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’কে (Amit Shah) মেল করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা।

অমিত শাহ’র (Amit Shah) সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। তারপর কলকাতায়ও এসেছিলেন অমিত শাহ। তখন জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজ্য সফরে এসে মৃতার বাবা-মায়ের সাথে দেখা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তা হয়নি। তিলোত্তমার বাবা-মায়ের সাথে দেখা না করেই দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন অমিত শাহ।

আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের দাবি! বিধানসভায় বিধায়কদের মধ্যে শুরু হাতাহাতি

যদিও তাঁদের আস্থা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর। এবার তারই ফল মিলল। নির্যাতিতার বাবাকে নিজেই ফোন করলেন অমিত শাহ। সেদিন কলকাতায় এসে দেখা না করলেও ফোনে নির্যাতিতার বাবা-মাকে তিনি আশ্বস্ত করেছেন তাঁদের সাথে তিনি দেখা করবেন।

Amit Shah

সূত্রের খবর আরজিকর ইস্যুতে তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। বুধবার অমিত শাহ অভয়ার বাবা মাকে ফোন করে দেখা করার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কবে-কোথায়? তা এখনও ঠিক হয়নি। তবে তাঁদের বৈঠক যে হবেই তা জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর