বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক মাস ধরে লাগাতার শিরোনামে রয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসক মহল .আরজিকল কান্ডের পর নির্যাতিতাকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের জুনিয়ার চিকিৎসকরা। এরইমধ্যে ঝাড়গ্রামের লজ থেকে উদ্ধার হল এক চিকিৎসকের (Jhargram Doctor) মৃতদেহ। প্রাথমিক তদন্তে ওই চিকিৎসকের (Jhargram Doctor) মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও ক্রমশ ঘনিয়ে উঠছে রহস্য।
ঝাড়গ্রামে চিকিৎসকের (Jhargram Doctor) মৃত্যু
আদতে বেহালার বাসিন্দা এই চিকিৎসকের নাম দিপ্র ভট্টাচার্য। মৃত্যুর আগে স্ত্রীকে একটি লম্বা সুসাইড নোট লিখেছিলেন তিনি। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। এই চিকিৎসক ছিলেন কলকাতার আরজিকর কলেজের প্রাক্তনীও। মৃত চিকিৎসক (Jhargram Doctor) তাঁর সুসাইড নোটে পারিবারিক বিষয়ে একাধিক সমস্যার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি কোন এক বিষয়ে ‘ফেঁসে যাওয়ার’ কথাও উল্লেখ করেছেন।
ওই চিঠির পরতে পরতে উঠে এসেছে চিকিৎসকের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার কাহিনী। এদিন ঝাড়গ্রামের যে লজ থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেই লজের কোন বেআইনি কাজের সাথে তিনিও জড়িয়ে পড়েছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর চিটফান্ড কোম্পানি এমপিএস-এর টাকায় ওই লজটি তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : ফিরহাদ হাকিমের কুমন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য! কুণাল বললেন ‘ওই বিপ অংশ…’
ওই লজের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। এমনকি জানা যাচ্ছে, সঠিক নিয়ম মেনেও নির্মাণ করা হয়নি এই লজ।এখানেই শেষ নয় জানা যাচ্ছে, গতকাল চিকিৎসকের মৃত্যুর পর আশ্চর্য্যজনকভাবে ওই লজের মালিক নিজেই লোক ডেকে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিলেন। পরে চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর যায় পুলিশে।
ফরেনসিক টিম ওই ঘরের খুঁটিনাটি সমস্ত কিছুই তদন্ত করে দেখছেন। সেই সাথে পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এই লজ সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়। সেইসাথে প্রশ্ন উঠছে এলাকায় বাড়ি ভাড়া না নিয়ে কেন ঝাড়গ্রামের দুটি লজে অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে থাকতেন চিকিৎসকরা। এর পিছনে কি কোন অন্য কোনো চক্র কাজ করছে? গোটা বিষয়টি আপাতত তদন্ত সাপেক্ষ বলেই জানিয়েছে পুলিশ।