তাস খেলেই বিশ্বজয়! মিলল সোনার পদক, দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন আসানসোলের সঞ্জিত

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছাত্রজীবনে তাস (Playing Card) খেলেননি এমন পড়ুয়া রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। শুধু তাই নয়, গ্রামে-গঞ্জে নিয়মিত তাসের আসর চোখে পড়ে। তবে, তাস খেলাকে এখনও অনেকেই বাঁকা চোখে দেখলেও আসানসোলের যুবক সঞ্জিত যা করে দেখিয়েছেন তাতে অবাক হয়েছেন প্রত্যেকেই। শুধু তাই নয়, তাসকে সঙ্গী করেই তিনি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। আর তারপর থেকেই সঞ্জিত রয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

তাস (Playing Card) খেলেই বিশ্বজয় করলেন সঞ্জিত:

জানিয়ে রাখি যে, ছাত্রজীবনে নিয়মিত তাস (Playing Card) খেলতেন সঞ্জিৎ। যেটি পরিবারের সদস্যরা খুব একটা ভালো চোখে দেখতেন না। কিন্তু, আজ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। বরং, ছেলের বিশ্বজয়ের এই মুহূর্ত উপভোগ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন সঞ্জিতের বাবা-মাও। উল্লেখ্য যে, আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে গত ২২ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পযর্ন্ত ব্রিজের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সম্পন্ন হয়। সেখানে পেয়ার্স ইভেন্টে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান আসানসোলের মহিশীলার দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জিৎ দে এবং কলকাতার বিনোদ সাউ জুটি।

Sanjit won gold medal by playing card.

আর ওই ইভেন্টেই সোনা হাসিল করেছে ভারতের এই জুটি। এমতাবস্থায়, স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজয় করে বাড়ি ফেরার পর সঞ্জিতকে ঘিরে তুমুল উন্মাদনা পরিলক্ষিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সঞ্জিত জানিয়েছেন, বন্ধুদের সাথে কলেজ জীবন থেকেই নিয়মিত তাস (Playing Card) খেলতেন তিনি। যদিও, তখন এই খেলাকে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার কথা তিনি ভাবেননি। এদিকে, পরবর্তীকালে তাস খেলার বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর তিনি কন্ট্রাক্ট ব্রিজ খেলায় উৎসাহিত হন।

আরও পড়ুন: ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে হু হু করে বাড়বে মুসলিম জনসংখ্যা! পাকিস্তান সহ এই ৩ টি দেশে হিন্দুরা হবে বিলুপ্ত

শুধু তাই নয়, ২০১৫ সালে ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স হন তিনি। আর তারপর থেকেই তাসকে (Playing Card) সঙ্গী করেছেন সঞ্জিত। তবে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে যে বিস্তর ফারাক রয়েছে সেটাও মেনে নিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সঞ্জিত নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, “নিঃসন্দেহে এটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। আমাদের সিলেকশন পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল আমেদাবাদে। আমি বিনোদের সাথে জুটি বেঁধেছিলাম।”

আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা করল ISRO! ২০২৬ সাল পর্যন্ত স্থগিত ভারতের গগনযান মিশন, কারণ জানালেন সোমনাথ

তিনি আরও জানান, “তবে, সিলেকশন পর্বের শেষের দিকে আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াই। আর তারপরেই দেশের হয়ে সুযোগ পাই প্রতিনিধিত্ব করার।” এর পাশাপাশি, সঞ্জিত তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানিয়েছেন। তিনি, আগামী দিনে এশিয়ান গেমস কিংবা আরও বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে অংশগ্রহণ করতে চান বলে ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর