বাংলা হান্ট ডেস্ক: ক্যান্সার, আর ক্যান্সার (Cancer) এই রোগের জ্বালায় অতিষ্ঠ সকলেই। এমনকি আজ এই মারণব্যাধি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে ৮ থেকে ৮০ সকলেই এই রোগের শিকার। তবে এবার ক্যান্সার (Cancer) থেকে সাবধান হয়ে যান ভারতীয় মহিলারা। কারণ এতদিন ক্যান্সারের (Cancer) সীমাবদ্ধতা ছিল গ্যাস্ট্রিক, ফুসফুস, ওরাল ক্যান্সারের মধ্যে। কিন্তু কখনো কি “শাড়ির ক্যান্সার” সম্পর্কে শুনেছেন? সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর এই “শাড়ির ক্যান্সার”রে আক্রান্ত বহুমহিলা। এখন প্রশ্ন এই ক্যান্সার কিভাবে সৃষ্টি হয়? কেনো এতো ভয়ঙ্কর এই রোগ?
‘শাড়ির ক্যান্সার’ (Cancer) আসলে কি?
ভারতীয় মেয়েরা শাড়ি পরতে বেশ ভালোবাসেন। তবে এবার এই শাড়ি পরাতেও কর্কট রোগের থাবা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই নিয়ে গবেষকরা বিস্ফোরক দাবি করেছেন। মূলত এই বিষয়ে ভারতের উত্তরপ্রদেশের জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা এক গবেষণায় “শাড়ি ক্যান্সার” রোগের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু শাড়ি থেকে ক্যান্সার হচ্ছে এমনটা নয়। শাড়ি পরার ধরন থেকেই এই ক্যান্সার ( Cancer ) হয়।
সবার আগে জেনে নিন “শাড়ির ক্যান্সার” আসলে কি? কিভাবে হয় এই রোগ?
ক্যান্সারের বিভিন্ন ভেরিয়েন্টের মধ্যে এটি হচ্ছে একটি নতুন ভেরিয়েন্ট। এটি মূলত একপ্রকার ত্বকের ক্যান্সার। আর এই ক্যান্সার সৃষ্টি হয় মেয়েদের ত্বকের উপর। মূলত মেয়েদের শাড়ি পড়ার ধরন থেকেই এই ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। গবেষকদের মতে, মেয়েরা পেটিকোটের দড়ি অত্যন্ত জোর দিয়ে বাঁধে। এর ফলে কোমরের ত্বক অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয় মেয়েরা শাড়ির কুচিও অত্যন্ত আঁটোসাঁটো ভাবে কোমরে পেচায়। আর ঠিক এই কারণে কোমরে শাড়ি এবং সায়ার ঘষা লাগতে শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে এমন ভাবে শাড়ি পড়ার ফলে ত্বকের উপর আলসার তৈরি হতে পারে। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় একে বলা হয় squamous cell caricom ( স্কুয়ামস সেল কারিকম )। যা ক্যান্সারেরই ( Cancer ) রূপ।
এই কর্কট রোগের লক্ষণ গুলি কি কি?
১কোমরে লাল দাগ:
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই শাড়ির ক্যান্সারের ( Cancer ) অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে কোমরের লাল দাগ তৈরি হওয়া। মূলত এই লাল দাগ তৈরি হয় টাইট করে সায়া বাধার ফলে। একই সাথে দিনের পর দিন এইভাবে টাইট করে সায়া বাঁধার রক্ত সঞ্চালনেও ব্যাঘাত ঘটে, ফলে একসময় ওখানে ক্যান্সারের ( Cancer ) কোষ বৃদ্ধি পায় ।
২ফুসকুড়ি:
অনেক সময় মেয়েদের কোমরে আশেপাশে ফুসকুড়ির মত দানা দেখা যায়। কারণ ওই অংশে শাড়ি পেঁচানোর ফলে সেখানে ঘাম এবং ময়লা জমতে শুরু করে। দিনের পর দিন ঘামা ময়লা জমতে জমতে সেখানে তৈরি হয়। এছাড়াও কোমরের ওই অংশটি পরিষ্কার না করলে ছোট ছোট ফুসকুড়ি তৈরী হয় । আর এই ফুসকুড়ি থেকে একধরনের রস নিঃসৃত হয়। এই রসগুলি শরীরে নানা অংশে ছড়িয়ে গিয়ে ক্যান্সার ( Cancer ) ভয়ংকর রূপ ধারণ করে।
৩ কালো দাগ :
অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে কালো দাগ। চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত টাইট ভাবে শাড়ি পরার ফলে ঘর্ষণ হয়। এই ঘর্ষণের ফলে কোমর থেকে চামড়া উঠে যেতে থাকে। ফলে কালচে দাগ সৃষ্টি হয়। যদি এই কালচে দাগ দীর্ঘদিন ধরে শরীরে দেখা দেয় তাহলে সাবধান হয়ে যান।
আরও পড়ুন: হুইস্কি তো পান করছেন! জানেন বোতল কিভাবে তৈরি হয়? ভাইরাল এই ভিডিও দেখলে ‘থ’ হয়ে যাবেন
৪ পিণ্ড:
ক্যান্সারের (Cancer) অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে কোমরে মাংসের পিণ্ড তৈরি হওয়া। মূলত এই মাংসের পিণ্ড টিউমারের লক্ষণ। আর মনে রাখবেন ক্যান্সারের (Cancer) প্রথম ধাপই হচ্ছে টিউমার।
এগুলি ছাড়াও চুলকানি, জ্বালাপোড়ার মত লক্ষণগুলিও এই ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।
এই ক্যান্সার (Cancer) থেকে বাঁচবেন কি করে?
গবেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, শাড়ির তলায় সায়া পড়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করার। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার মহিলারা যারা সর্বক্ষণ শাড়ি পড়ে থাকেন তারা এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন। সায়ার দড়ি যাতে টাইট না হয় সেটাই সবথেকে বেশি জরুরী। এমনকি সব সময় কোমরের ওই অংশটি পরিষ্কার রাখুন। এতে করে কিছুটা হলেও এই সমস্যা থেকে এড়ানো যাবে।