বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অস্ত্রোপচারের লাইভ সম্প্রচারে আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, ট্রেইনি চিকিৎসক এবং পেশাজীবীদের জন্য নানান মেডিক্যাল কনফারেন্সে সার্জারির লাইভ সম্প্রচার করা হয়। এর বিরোধিতা করেই শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। ‘নিঃসন্দেহে গুরুতর বিষয়’ বলে উল্লেখ করে মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
অস্ত্রোপচারের লাইভ সম্প্রচারে আপত্তি জানিয়ে মামলা! কী বলল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)?
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার কথায়, এই অভিযোগ খুবই গুরুতর এবং এই বিষয়টির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নীতির সম্পর্ক আছে। সেই কারণে মামলাকারীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তাঁর অভিযোগ বিচারযোগ্য।
সর্বোচ্চ আদালতে দায়ের হওয়া এই মামলার গুরুত্বপূর্ণ দুই পক্ষ হল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) ও ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশন। তবে এই দুই পক্ষই এদিন উপস্থিত না থাকার দরুন শুনানি মুলতুবি হয়ে যায়। এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশনকে জরুরি নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের রেজিস্ট্রিকে।
আরও পড়ুনঃ বায়োলজিক্যাল এভিডেন্সেই ঘুরে যায় ‘খেলা’! আরজি কর কাণ্ডে যেভাবে ‘ফাঁসলেন’ সঞ্জয়…
জানা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হওয়া এই জনস্বার্থ মামলার মামলাকারীরা অস্ত্রোপচারের লাইভ সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হোক সেটা চান না। বরং ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশনকে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করতে বলা হোক, সেটা চান। নিয়মিতভাবে সেই কমিটি লাইভ অস্ত্রোপচার নিয়ন্ত্রণ করবে। সেই সঙ্গেই এর জন্য বিশেষ গাইডলাইনও থাকতে হবে।
রিপোর্ট বলছে, স্রেফ গত মাসেই অন্তত ৩৮টি লাইভ অস্ত্রোপচার (Surgery) হয়েছে। এই ধরণের অপারেশনের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি মেডিক্যাল কনফারেন্সে কমপক্ষে ৮০০ দর্শক থাকেন। অস্ত্রোপচারের মাঝেই তাঁরা অস্ত্রোপচারকারীকে নানান প্রশ্ন করেন। অস্ত্রোপচারকারীও জবাব দেন। এর ফলে তাঁর মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
গোটা বিশ্বের নানান দেশে লাইভ অস্ত্রোপচারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তবু মূলত সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল রোগীদের থেকে অনুমোদন নিয়ে এই প্রক্রিয়া করা হয়। সেক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের কোনও টাকা নেওয়া হয় না। এবার এই নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।