বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন স্ত্রী। স্বামীর আত্মহত্যার জন্য তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দোষী সাব্যস্ত করে নিম্ন আদালত। অভিযুক্তরা হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হতেই সেই নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হল। সেই সঙ্গেই মামলায় সমস্ত চার্জ থেকে তাঁদের বেকসুর খালাস করে দিল আদালত।
হাইকোর্টের (High Court) রায় নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা!
বিচারপতি শিবশঙ্কর অমরান্নভার বলেন, এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Illicit Relationship) থাকার কারণে মহিলার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। শুধুমাত্র এই কারণটি ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের সেকশন ৩০৬-এর অধীন তাঁদের আত্মহত্যার প্ররোচনায় দোষী সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
এখানেই না থেমে হাইকোর্টের বিচারপতি শিবশঙ্কর অমরান্নভার (Justice Shivashankar Amarannavar) আরও বলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত মৃত ব্যক্তিকে ‘মরে যাও’ বললেও, কোনও রকম উস্কানি ছাড়া শুধুমাত্র এই শব্দ প্রয়োগ করা আত্মহত্যায় প্ররোচনা নয়।
আরও পড়ুনঃ সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর! নতুন বছরেই বাড়বে মূল বেতন? DA নিয়ে নয়া আপডেট!
উচ্চ আদালতের (Karnataka High Court) কথায়, ‘প্রয়াত ব্যক্তি আত্মহত্যার পথ বেছে নিক, এটা অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য ছিল না। শুধুমাত্র অভিযুক্ত প্রয়াত ব্যক্তিকে মরে যেতে বলেছিলেন, যাতে তাঁরা সুখে জীবনযাপন করতে পারেন, সেটা প্ররোচনা নয়। স্ত্রীয়ের অবৈধ সম্পর্ক থাকার কারণে প্রয়াত ব্যক্তি সেনসিটিভ ছিলেন। এই কারণে খারাপ লাগা থেকে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিতে পারেন। তবে রেকর্ডে থাকা প্রমাণ একথা প্রতিষ্ঠা করে না যে অভিযুক্তরা নিজেদের কর্মের মাধ্যমে প্রয়াত ব্যক্তিকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেছেন’।
উল্লেখ্য, নিম্ন আদালতের তরফ থেকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দোষী সাব্যস্ত করার পর কর্ণাটক হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত। তাঁদের পক্ষেই রায় দিয়েছে উচ্চ আদালত। নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করার পাশাপাশি দু’জনকে মামলায় সমস্ত চার্জ থেকে বেকসুর খালাস করেছে হাইকোর্ট।