বাংলাহান্ট ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট রূপে নতুন করে নির্বাচিত হয়েই চিনকে বড়সড় ধাক্কা দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে তিনি নিযুক্ত করলেন মাইক ওয়াল্টজকে, যিনি একাধারে কট্টর চিন বিরোধী এবং ভারত বন্ধু হিসেবেই পরিচিত। ফ্লোরিডা থেকে ভোটে জেতা ওয়াল্টজ দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেছেন। বেশ কয়েকটি বৈদেশিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। পেয়েছেন গ্রিন বেরেট খেতাব। উপরন্তু মার্কিন কংগ্রেসের ভারত গোষ্ঠী ইন্ডিয়া ককাস এর প্রধানও তিনি।
ট্রাম্পের (Donald Trump) নিরাপত্তা উপদেষ্টা কে এই মাইক ওয়াল্টজ?
ঘোরতর চিন বিরোধী বলে পরিচিত মাইক ওয়াল্টজ একাধিক বার ড্রাগন প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। চিনের বিদেশনীতির তীব্র সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। বিশেষ করে করোনা ছড়ানোর অভিযোগ এবং মুসলিম অধ্যুষিত চিনের উইঘুর বাসিন্দাদের করোনা কালে যথাযথ চিকিৎসা না মেলার অভিযোগ তুলে ২০২২ এর বেজিং অলিম্পিক বয়কটের ডাক দেওয়ার নেপথ্যেও বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন ওয়াল্টজ।
চিনের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব: চিনা আগ্রাসনের বরাবর বিরোধিতা করেছেন ওয়াল্টজ। ভোটের আগে একটি আর্থিক নিবন্ধে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Donald Trump) ভূমিকা এবং দায়িত্ব নিয়ে কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তাইওয়ানে যেভাবে ধীর পথে আগ্রাসনের দিকে এগোচ্ছে চিন তা ঠেকানোর জন্য সেনাবাহিনীকে যেভাবে তৈরি করার দরকার তা আমেরিকা করছে না। উপরন্তু প্রতিরক্ষা খাতে খরচ কমিয়ে ফেলায় তা চিনের পক্ষে লাভজনক হতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : ক্রুশাল অতীত, অদ্রিজার জীবনে নতুন মানুষ! কার সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন বিদেশে?
চাপে থাকবে জিনপিং প্রশাসন: ওয়াল্টজ আরো লিখেছিলেন, ইউরোপ এবং আরব দুনিয়া থেকে বৈদেশিক নীতির দৃষ্টি সরিয়ে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকার নজর দেওয়া উচিত। পাশাপাশি ইউক্রেন এবং আরব দুনিয়ার সংঘর্ষ থামানো এবং কমিউনিস্ট পার্টির বৃহত্তর আতঙ্ক কাটানোও হবু মার্কিন প্রেসিডেন্টের (Donald Trump) উচিত বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। এমতাবস্থায় ওয়াল্টজ এর হাতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থাকা চিনকে যথেষ্ট চাপে রাখবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আরো পড়ুন : চূড়ান্ত হওয়ার পথে চুক্তি! ভারতের কাছ থেকে কোন মারণাস্ত্র কিনতে চায় ফ্রান্স? চমকে দেবে বিশেষত্ব
অন্যদিকে ট্রাম্পের (Donald Trump) এই পদক্ষেপে ভারতের ক্ষেত্রে বড় স্বস্তি হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এতে একদিকে চিন ভারত সম্পর্কের সমীকরণে চিন যেমন লাগামে থাকবে, তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কও উল্লেখযোগ্য মোড় নেবে। সবথেকে বড় কথা, দীর্ঘদিন ধরে চিনা আগ্রাসন ঠেকাতে যে শক্তিশালী মার্কিন প্রতিরক্ষা এবং সহায়তা চেয়ে আসছিল ভারত, এবার তা পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। এতে কূটনৈতিক দিক থেকেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে নয়া দিল্লি।