‘শেষবারের জন্য অনুমতি দিচ্ছি…’! শুভেন্দুর মামলায় বড় রায়! কেন এমন বলল হাইকোর্ট?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় মেলেনি পুলিশি অনুমতি। এই বিষয়টি একেবারেই নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই শুভেন্দুর সভার জন্য পুলিশি অনুমতি না মেলার খবর কানে আসে। তেমনই বহুবার সভার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টেরও (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা। এবার এমনই এক মামলায় বড় নির্দেশ দিল আদালত।

  • ‘শেষবারের জন্য অনুমতি দিচ্ছি…’, জানাল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!

হাওড়ার শ্যামপুরে জনসভা করতে চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। সেই সভার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সতর্ক হওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। স্পষ্ট জানিয়েছেন, এরপর সভার জন্য যদি অন্তত ২০ মিটারের কম চওড়া রাস্তা হয়, তাহলে সেখানে অনুমতি দেওয়া হবে না।

হাওড়ার শ্যামপুরে কামারপুর রোড দেউলি বাজার জংশন অঞ্চলে বুধবার তথা আজ বিকেলে শুভেন্দুর সভা রয়েছে। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) পুলিশের দাবি, যে মাঠে বিজেপি বিধায়কের সভা হওয়ার কথা সেখানে যাওয়ার রাস্তা ভীষণ সরু। তাই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নিয়ে সেখানে শুভেন্দুর কনভয় ঢোকা বেরনো বেশ অসুবিধাজনক।

আরও পড়ুনঃ ‘এভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার…’! ‘বুলডোজার নীতি’ নিয়ে বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের! তোলপাড় দেশ

পাল্টা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী উচ্চ আদালতে জানান, নিরাপত্তা নিয়ে কোনও অসুবিধা হবে না। মুচলেকা দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। সেকথা শুনেই জাস্টিস ঘোষ বলেন, ‘যদি মুচলেকা দেওয়ার পরেও কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তারপরেও জীবন বাঁচানো যায় না। হাজার দেড়েক লোক নিয়ে ওই মাঠে সভা করতে পারবে বিজেপি। তবে বিরোধী দলনেতা বাদে আর কেউ গাড়ি নিয়ে মাঠের কাছাকাছি যেতে পারবেন না। বাকিদের বড় রাস্তা থেকে হেঁটে যেতে হবে’।

Calcutta High Court

এখানেই না থেমে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, ‘এই শেষবারের জন্য অনুমতি দিচ্ছি। জাতীয় সড়কের ধারে সভা করলেও আমি অনুমতি প্রদান করব। তবে এরপর সভার জন্য মিনিমাম ২০ মিটারের কম চওড়া রাস্তা যদি হয়, সেখানে অনুমতি দেওয়া হবে না’। জাস্টিস ঘোষ এদিন বলেন, জেড ক্যাটাগরির ভিআইপির যদি কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে পুলিশের কিছু করার থাকবে না।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর